অর্ধমৃত আত্মা

অলংকরণ: তুলি

আমি নিঃসঙ্গতার জানালা খুলে দেখি,
আজ আমার চারপাশ শুধুই ফাঁকা!
কোথাও কেউ নেই শূন্য প্রান্তে স্মৃতিরা জাগে একেলা।
সীমাহীন আঁধারে হৃদয়ের দেয়ালে ঝুলছে এক অর্ধমৃত প্রায়,
টিকটিকে বেজে ওঠা সেই ঘড়ির আত্মা!
জীবন্ত হাহাকার বোবা দু’নয়নে জমেছে বিন্দু বিন্দু শিশিরকণা।

বছরখানেক আগেকার এক ঠুনকো ব্যথা,
বারে বারে আঘাত হানে এই বুকের পাতায়।
আত্মচিৎকারে ভারী স্যাঁতসেঁতে পুরোনো বাড়িটি,
বসবাসহীন অযোগ্য আসবাবে এলোমেলো তা।
সাজানো হয়নি সে ভাঙা কুঠিরে আজ জন্মেছে ঘাস–লতা।

বহুদিন পর তাকিয়ে দেখি, শেওলা জমে ঘিরে আছে আরও অজস্র আগাছা।
দুঃখগুলো এক এক করে ঝরে পড়ে হাতের তালু
গলে পড়া নরম মোমবাতিটায়!
আমি দিগ্‌বিদিক ঘুরে কোথাও পাই না এতটুকু স্বচ্ছ জায়গা।
একটুকরা জমিন খালি নেই কেবলই বিষণ্নতা।
রাতের প্রহরে হাহুতাশ করে কষ্টের তীব্রতা।

নির্লিপ্ত প্রণয়ের সুর আতঙ্কে মুখর বীভৎস কায়া।
এমনও দুঃসহ ক্ষণ না আসে যেন গোপনে সখা
তোমার পাড়ায়
আমি সয়ে সয়ে ক্লান্ত হয়েছি কেটেছি পচা শামুকে পা।
নিষ্ঠুর পৃথিবী ক্ষতবিক্ষত করেছে হৃদয়ের দোরগোড়ায়।
খোলা বাতায়নে জ্বলে দেখি বন্দী খাঁচাটা,
অভিমানের আঁচলে মুখ ঢেকে মর্মর প্রায় প্রাণভোমরা।