খুশি ছড়াই, আনন্দ পাই

ভৈরব বন্ধুসভার সহমর্মিতার ঈদ কার্যক্রমে লেখকসংগৃহীত

এখনো মনে পড়ে, নতুন জামাটি বাবা কিনে দেওয়ার পর কতটা খুশি হয়েছিলাম। নতুন শার্ট, প্যান্ট, জুতা জোড়া কোলে নিয়ে ঘুমানোর মধ্যে ছিল স্বর্গীয় সুখ।

তখন ধারণা ছিল, ঈদের আগে জামা যদি কেউ দেখে ফেলে তাহলে ঈদ চলে যাবে। আর তাই কেনার পর চুপিচুপি প্রিয় জিনিসটি আলমারিতে তালাবদ্ধ করতে পারলেই শান্তি। নতুন জুতা পরে বিছানায় হাঁটতাম, কিছুক্ষণ পরপর জামা বের করে গন্ধ নিতাম, নতুন পোশাকের ঘ্রাণে যেন নেমে আসত অপার্থিব এক সুখ। ঈদকে ঘিরে এমনি ছোট ছোট আনন্দে পরিপূর্ণ হতো আমাদের শৈশবের ঈদ।

বড় হওয়ার পর আগের মতো ঈদের আনন্দ ফিরে না এলেও খানিকটা সুখস্মৃতি খুঁজে পাই বন্ধুসভার সহমর্মিতার ঈদ আয়োজন কর্মসূচির মাধ্যমে। ছোটবেলা থেকেই চাইতাম সমাজের অবহেলিত শিশুদের জন্য কিছু করব, রেলস্টেশনের শিশুদের অসহায় মায়াময় মুখ আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দিত। অবশেষে তাদের জন্য কাজ করার সুযোগ পাই বন্ধুসভার মাধ্যমে।

২০১৭ সালে ভৈরব বন্ধুসভার মাধ্যমে আনন্দ ছড়ানোর এই আয়োজনের সঙ্গে পরিচয়। রঙিন জামা পেয়ে তাদের হাসিমুখ দেখে ফিরে গিয়েছিলাম ফেলে আসা শৈশবের দিনগুলোতে। তাদের নিষ্পাপ হাসিগুলো যেন মন ভালো করার বিশেষ টনিক। তাই তো সাত বছর ধরে এই আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থেকে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি।

সবার মধ্যে ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে দিতে এ বছরও ভৈরব বন্ধুসভা সহমর্মিতার ঈদ কর্মসূচিকে ঘিরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। অপেক্ষায় আছি শিশুদের ভুবনভোলানো হাসিমাখা দিনটি দেখার জন্য। বন্ধুসভার মাধ্যমে খুশি ছড়াই, আনন্দ পাই।

বন্ধু, ভৈরব বন্ধুসভা