তখনো বৃষ্টি হতো, এখনো বৃষ্টি হয়

বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলায় মেতেছে শিশু-কিশোরেরা। খানপুর, নারায়ণগঞ্জছবি: দিনার মাহমুদ

আজ সকাল থেকে অঝোরে বৃষ্টি ঝরছে, বিরতিতে যাওয়ার লেশটুকু নেই যেন। আষাঢ়ের চিরচেনা এই রূপ আমার কাছে স্বাভাবিক। দিনের আবছা আলোয় সমরেশ মজুমদারের ‘উত্তরাধিকার’ পড়তে পড়তে হাঁপিয়ে উঠলাম। একটু বাইরে গিয়ে বৃষ্টি দেখার ইচ্ছে হলো। যেই ভাবা সেই কাজ। বাইরে গিয়ে বেলকনির কিনারা ঘেঁষে দাঁড়ালাম। হঠাৎ লক্ষ করলাম, সামনের ভবনের এক শিশু বৃষ্টির জমে থাকা জল নিয়ে খেলছে। বয়স সাত থেকে আট বছর হবে।

আমারও সেই ছেলেবেলার দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। এ রকম বৃষ্টির দিনগুলোতে কী মজাই না করতাম! বৃষ্টি নামলে ফুটবল নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম, গলিতে বিশ্বকাপের আমেজ জমে উঠত। পাড়ার প্রতিটি গলিতে ফুটবলময় আমেজ। কাদায় মাখামাখি, কাকভেজা হওয়া, একে অপরকে কাদায় ল্যাং মারা!

ইটপাথরের শহরগুলোয় এখনকার বৃষ্টিতে এ আমেজ আর চোখে পড়ে না। সবকিছু যান্ত্রিকতায় বন্দী। তখনো বৃষ্টি হতো, এখনো বৃষ্টি হয়, তফাত একটাই—এখনকার বৃষ্টি মন ভেজায় না। বৃষ্টি হলে বাসার গলিতে আর ফুটবল খেলা হয় না, সবাই মিলে কাকভেজা হওয়া হয় না, কাদায় মাখামাখি হওয়া হয় না এবং ছেলেবেলার মতো নির্মল আনন্দ লাভ করা হয়ে ওঠে না।

সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা