মেঘবতীর চিঠি
প্রিয় আকাশ,
তুমি আমাকে রুপালি জ্যোৎস্নায় ভেজাবে?
নক্ষত্রগুলো জ্বলে উঠবে ওই নীল দিগন্তে,
অন্ধকার জীবনের প্রহর পেরিয়ে তৃষ্ণায় ভেজাব আমার দগ্ধ প্রেম।
ঘাত-প্রতিঘাতের দহন পুষে পুষে যখন হৃদয়স্পন্দন থেমে যাবে
দেবে আমায়, তোমার হৃদয়ের কপাট খুলে?
একবুক শ্বাস নেব
আর্তনাদগুলো বিসর্জন দেব,
তোমার ওই গহিন হৃদয়ের ফেনিল সাগরে।
যতই নিজেকে আড়াল করি,
মৌন পুষে রাখি নিজের ভেতর; পারবে তুমি আমায়
শতবর্শী বটবৃক্ষের মতো ছায়া দিতে?
কথা দিচ্ছি,
মৃত্যুর আগে স্মারকলিপি লিখে রেখে যাব
অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা এঁকে যাব রঙিন দেয়ালিকাজুড়ে।
জানো আকাশ,
যখন বাজছিল শেষের কালের মরণবাঁশরি
জিবরাইল এসেছেন মৃত্যুকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে।
সে যাত্রার যাত্রী না পেয়ে আমাকেই;
হ্যাঁ; আমাকেই বিনে পয়সায় নিয়ে যেতে চেয়েছিল
ঠিক, ঠিক তখুনি তুমি
রুপালি জ্যোৎস্নার আলোয় আমাকে ভাসালে
আমি আবার ধূসর ডানা মেলে
গাঙচিল হয়ে, অভিমান দূরে সরিয়ে অপার আনন্দে হৃৎকম্পনের ঢেউ তুলে
উড়তে শুরু করলাম!
ইতি
মেঘবতী