অক্ষয় বেকারত্ব

শিক্ষা নাকি আলো ছড়ায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম
আমার সার্টিফিকেটে আরশোলা বাসা বেঁধেছে তাই আজন্ম।
স্বপ্নগুলো কুর কুরে খায়, সূর্যটাও দিন শেষে
আমার মুখে লজ্জার রশ্মি ছড়ায়।
এ অফিস হতে সে অফিস ঘুরতে ঘুরতে
আর রাজপথে হাঁটতে হাঁটতে ক্ষয়ে ক্ষয়ে বেকারত্ব অক্ষয়।
সরকারি চাকরির রেজাল্টের অপেক্ষায়
হাজারো বেলাকে হারাতে হয়েছে অবেলায়।
এত কিছু বদলায়, তবে কেন বদলায় না বেকারত্বের জ্বালানি?
আমার নাকি বয়সও বেড়ে যাচ্ছে, চাকরি না পেলে মিলবে না সঙ্গী।
পিএইচডি করা শিক্ষার্থীও আজ করছে কেরানিগিরি,
মাস্টার্স করা ছেলেটাও আজ বারো হাজারে ডিউটি করছে বারো ঘণ্টা অব্দি।
সজল চাচার পঁয়তাল্লিশ ছাড়াল, তবু বেকারত্ব ছাড়েনি।
কখনোই হেরে যেতে চাইনি, না সারা অসুখের কাছে,
তবু আর নিশ্চয়তা পাই না এ সময়—
প্রতিবেশী আর পরিবারের হাজারো অবজ্ঞা, অবহেলা আর যন্ত্রণায়।