ছায়াশরীর
জলের মধ্যে ছায়া কাঁপে
ঘাসফড়িংয়ের ডানার মতো
কাঁপে আমার শরীর
ভরদুপুরে তোমায় নিয়ে বকুলতলায় যাব
কাচের চুড়ি, নাকছাবিটা লতানো যত পাতায়
অজানা কত ফুলের মতো রং ছড়ানো বাহার
বুকের ভেতর ঝনঝনিয়ে বাজে
হাত বাড়ানো ফাল্গুন, নাম কী দেব তোমার?
ধানের শিষে উড়ে উড়ে বুকের মধু খাব
আমার বাঁশি ছিনিয়ে নিয়ে তুলে দিয়েছ পরির
মন ভরে যায় লাজে
দুপুরগলা কিরণ, হোক যত বিকিরণ
তোমার–আমার ছায়াশরীর ভাসছে যেমন
ভেসে উঠবে তেমন, থাকলে পাশে
কদম কদম চলবে মেপে মেপে