ডিজনিল্যান্ড কি সত্যিই একটি শিল্পকর্ম নাকি অনিয়ন্ত্রিত পুঁজিবাদের প্রতীক!

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় জনপ্রিয় থিমপার্ক ডিজনিল্যান্ডফাইল ছবি: রয়টার্স

অ্যানিমেশন জগতের জাদুকর ওয়াল্ট ডিজনি গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকেই মানুষের মনোরঞ্জনের চাবিকাঠি খুঁজে পেয়েছিলেন। ডিজনিল্যান্ডের মাধ্যমে রূপকথার চরিত্রদের হাত ধরে কল্পনার জগতে ডুব দেওয়ার অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি।

১৯৫৫ সালের ১৭ জুলাই, এই দিনে স্যার ওয়াল্ট ডিজনির প্রতিষ্ঠিত ডিজনিল্যান্ড প্রথমবারের মতো দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
আমাদের ছোটবেলাকে রঙিন করে দিতে বিভিন্ন কার্টুন চরিত্র যেমন মিকি মাউস, পিটার প্যান, তিয়ানা—এগুলোর জুড়ি ছিল না। মার্কিন কার্টুনিস্ট স্যার ওয়াল্ট ডিজনির এসব কার্টুন চরিত্র পৃথিবীব্যাপী সমাদৃত। ডিজনিল্যান্ড তাঁরই তৈরি তেমনি একটি থিম পার্ক।

এই ডিজনিল্যান্ড নিয়ে কৌতূহলের কমতি নেই। ডিজনিল্যান্ড শুধুই কি থিম পার্ক নাকি আসলেই একটি স্বপ্নরাজ্য! যা উদ্বোধনের পর থেকে আজ পর্যন্ত থিম পার্কের তালিকায় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত এই থিম পার্ক এবং এর আন্তর্জাতিক শাখাগুলো তাদের নৈপুণ্য এবং নকশার জন্য আগের চেয়ে বেশি পরিচিত ও মূল্যবান হয়ে উঠছে। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, এটি কি শিল্প নাকি অনিয়ন্ত্রিত পুঁজিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছে? নাকি উভয়?
ডিজনিল্যান্ড নামক স্বপ্নরাজ্য নিয়ে বিস্তারিত জানব এই লেখায়।

শুরুর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
ডিজনিল্যান্ড গড়ার কারিগর ওয়াল্ট ডিজনির পুরো নাম ওয়াল্টার এলিয়াস ডিজনি; যিনি কিনা ভেবেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দের স্থান গড়ে তুলবেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, তিনি বাস্তবিক জীবনে একটি সমস্যার সমাধান বের করতেই এই পার্ক গড়ার কথা ভাবেন।

একদিন ওয়াল্ট ডিজনি গ্রিফিথ পার্কের একটি বেঞ্চে বসে ছিলেন। তাঁর দুই মেয়ে সেই পার্কের মেরি-গো-রাউন্ড ক্যারোজেলে চড়ে আনন্দ করছিল। তিনি ভাবলেন, যদি পার্কগুলো এমনভাবে করা হতো, যেখানে কিনা মা–বাবা, ছেলেমেয়ে সবার জন্যই পর্যাপ্ত আনন্দের ব্যবস্থা থাকবে, তাহলে কতই–না মজা হতো!

সেই ভাবনা থেকেই তিনি এমন একটি পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করলেন, যেখানে সব বয়সের মানুষের উপযোগী বিভিন্ন রাইড থাকবে এবং ইচ্ছা হলে পরিবারের সবাই মিলে পার্কে এসে আনন্দঘন সময় কাটাতে পারবে। সঙ্গে থাকবে পছন্দের সব কার্টুন চরিত্রের সঙ্গে বাস্তবে দেখা করার সুযোগ।

যেই ভাবনা সেই কাজ। ১৯৫২ সালে ওয়াল্ট ডিজনি ওয়েড এন্টারপ্রাইজ নামক একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর এই স্বপ্নরাজ্য গড়ার অংশীদার হন একদল অসাধারণ ইঞ্জিনিয়ার, কার্পেন্টার, বিজ্ঞানীসহ নানা পেশাজীবীর মানুষ।
ওয়েড এন্টারপ্রাইজের বর্তমান নাম ইমাজিনিয়ারিং (Imagineering)। কারণ, কোম্পানির কর্মীদের কাজ হলো নতুন কিছু কল্পনা করা এবং তা ইঞ্জিনিয়ারদের সাহায্যে বাস্তবে রূপ দেওয়া। তাই এই দুটি শব্দ (Imagine ও Engineer) ব্যবহার করেই নাম রাখা হয় ইমাজিনিয়ারিং (Imagineering)।

ডিজনিল্যান্ড
ফাইল ছবি: এএফপি

দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে ২১ ডিসেম্বর, ১৯৫৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার আনাহেইম শহরের স্যান্টা এনা ফ্রিওয়ের কাছে ১৬০ একরের একটি জমিতে ডিজনিল্যান্ডের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু ডিজনিল্যান্ড গড়ে তুলতে যে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন ছিল, তা ওয়াল্ট ডিজনির একার পক্ষে বহন করা সম্ভব ছিল না। তাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বড় বড় টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ও কোম্পানিগুলো ডিজনিল্যান্ডের শেয়ারের বিনিময়ে বিনিয়োগের ফলেই এই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ লাভ করে। যদিও পরবর্তী সময়ে ওয়াল্ট ডিজনি ধীরে ধীরে শেয়ারগুলো কিনে নেন এবং তাঁর একছত্র আধিপত্য নিশ্চিত করেন। ১৯৫৫ সালের ১৭ জুলাই স্যার ওয়াল্ট ডিজনির প্রতিষ্ঠিত এই স্বপ্নরাজ্য ডিজনিল্যান্ডের দরজা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

ডিজনিল্যান্ড কি সত্যিই একটি শিল্পকর্ম?
পুরোনো একটি প্রবাদ আছে, ‘ইন আর্ট উই বোথ লস আওয়ারসেলবস অ্যান্ড ফাইন্ড আওয়ারসেলব।’ ডিজনিল্যান্ড তেমনি একটি জায়গা। কেউ কেউ মনে করেন এর চেয়ে ভালো জায়গার কথা ভাবা কঠিন। কারণ, এটি এখন ক্যালিফোর্নিয়া অরেঞ্জ গ্রোভ মার্কিন সংস্কৃতির প্রতীক হয়ে উঠেছে। টড মার্টেনস নামক একজন এলএ-ভিত্তিক ডিজনিল্যান্ড সম্পর্কে বলেন, ‘ডিজনিল্যান্ডে পা দেওয়া মানে একটি গল্পের বইয়ে পা রাখার মতো।’

আবার ডিজনিল্যান্ডজুড়ে একে একে গড়ে ওঠে ফ্রন্টিয়ারল্যান্ড, অ্যাডভেঞ্চারল্যান্ড, টুমরোল্যান্ড, ফ্যান্টাসিল্যান্ডের মতো থিম পার্কগুলো। অ্যাডভেঞ্চারল্যান্ডে গড়ে তোলা হয় আফ্রিকা, এশিয়া, আমেরিকা ইত্যাদি অঞ্চলের জঙ্গলগুলোর মতো বন্য পরিবেশ। তা ছাড়া কয়েক বছর আগে একটি ডকুমেন্টারি সিরিজ, ‘বিহাইন্ড দ্য অ্যাট্রাকশন’, ডিজনি+ এ প্রকাশিত হয়েছে, যা প্রথমবারের মতো থিম পার্কের সবচেয়ে বিখ্যাত রাইডগুলোর প্রযুক্তিগত ও শৈল্পিক দক্ষতাকে তুলে ধরে।

২০১৫ সালে মার্টেনস লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের জন্য একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন; যার শিরোনাম ছিল ‘সিঙ্গেল রাইডার: গোয়িং সোলো অ্যাট ডিজনি।’ সেখানে তিনি বলেন, ‘ডিজনিল্যান্ড খুব যত্নসহকারে তৈরি করা হয়েছে, যাতে প্রতিটি একক নকশার পেছনের গল্পটিকে শক্তিশালী করে।’

ডিজনিল্যান্ড এমন একটি শিল্প, যা একজন মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করে না, বরং তাঁর অনুভূতিকে জাগ্রত করে। তাই ডিজনিল্যান্ডের এই জনপ্রিয়তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এটি তার সম্মোহনী ক্ষমতা পুরোপুরি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। স্যার ওয়াল্ট ডিজনি বলেছিলেন, ‘ডিজনিল্যান্ড নির্মাণ কখনোই শেষ হবে না।’ তাঁর এই উক্তি আজও সঠিক বলে প্রমাণিত হচ্ছে। বিশ্ববাসীর সামনে যখন ডিজনিল্যান্ডকে উন্মুক্ত করা হয়েছিল, তখন এটি ছিল ১৬০ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত একটি পার্ক এবং এর অভ্যন্তরে একটিমাত্র হোটেল। বর্তমানে এটি ৫১০ একর জমিজুড়ে গড়ে ওঠা একটি রিসোর্টে পরিণত হয়েছে। এর ভেতরে রয়েছে সর্বমোট ২ হাজার ২২৪টি কক্ষের তিনটি বিশাল হোটেল ও একটি শপিং কমপ্লেক্স। রিসোর্টের ভেতরেও বিভিন্ন কাল্পনিক চরিত্রে প্রতিনিয়ত অভিনয় করছে প্রায় ২০ হাজারের মতো মানুষ। ১৯৫৫ সালে ডিজনিল্যান্ড নামের যে পার্কের সৃষ্টি হয় পৃথিবীর বুকে, তা ধীরে ধীরে সমৃদ্ধ হতে হতে বর্তমানে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ থিম পার্কের মর্যাদা লাভ করেছে।

থিম পার্ক
১৯৫৫ সালের ১৭ জুলাই যখন প্রথম ডিজনিল্যান্ড সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়, তখন প্রায় ১৮টি রাইডসহ ৫টি থিম পার্ক চালু করা হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফ্রন্টিয়ারল্যান্ড, অ্যাডভেঞ্চারল্যান্ড, টুমোরোল্যান্ড ও ফ্যান্টাসিল্যান্ডের মতো অসাধারণ কিছু থিম পার্ক। সব কটি পার্কই নিজস্ব বৈচিত্র্যতায় গড়ে তোলা। অন্যতম একটি থিম পার্ক ফ্রন্টিয়ারল্যান্ড গেটওয়েটি নির্মিত হয়েছে প্যান্ডেরোসা পাইন লগ জমির দীর্ঘ তীররেখা ধরে। যেখানে আমেরিকান সভ্যতার ক্রমবিকাশ তুলে ধরা হয়েছে।

সমালোচকদের মতে, ডিজনির পিকচার, লুকাসফিল্ম, মার্ভেল এবং ফক্স স্টুডিও কিনে নেওয়াতে এটি ডিজনিল্যান্ডকে একটি সাংস্কৃতিক একচেটিয়া মালিকানায় পরিণত করেছে।

অ্যাডভেঞ্চারল্যান্ডে আফ্রিকা, এশিয়া, আমেরিকা ইত্যাদি অঞ্চলের জঙ্গলগুলোর মতো বন্য পরিবেশ গড়ে তোলা হয়। যাঁরা সভ্যতাকে ভুলে গিয়ে কিছুক্ষণের জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশে হারিয়ে যেতে চান, তাঁদের জন্যই মূলত তৈরি করা হয় অ্যাডভেঞ্চারল্যান্ড।

অন্যদিকে ভবিষ্যৎ দুনিয়ার মতো করে তৈরি করা কাল্পনিক এক জগৎ হলো ডিজনির টুমোরোল্যান্ড। এখানকার অসাধারণ সব রাইডে সবাই নিজেকে নিমেষেই যেন হারিয়ে ফেলেন বর্তমান থেকে ভবিষ্যতের জগতে। মজার রাইডগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রিভারবোট রাইড। রিভারবোট রাইডে চড়ে টম সয়ার আইল্যান্ডের চারপাশ ঘুরে দেখা যায়। টম সয়ার আইল্যান্ডে বেড়াতে এলে প্রতিটি শিশুই এর প্রেমে পড়ে যায়।
অবশ্য যার কথা না বললেই নয়, ফ্যান্টাসিল্যান্ড। ডিজনিল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় থিম পার্ক সম্ভবত এটি। একে তৈরি করা হয়েছে জাদুবাস্তবতার এক অপূর্ব মিশেলে। এই ফ্যান্টাসিল্যান্ডে রয়েছে একটি বিশালাকার স্লিপিং বিউটি ক্যাসল এবং একটি ফ্যান্টাসি ভিলেজ।

ডিজনিল্যান্ড নিয়ে গড়ে ওঠা পুঁজিবাদ
গত দশকে থিম পার্কগুলোকে ঘিরে ডিজনির সাংস্কৃতিক আধিপত্য এবং কিছু বিজনেস স্ট্র্যাটেজির কারণে ডিজনি সম্পর্কে একটি বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি হয় সমালোচকদের মনে। সমালোচকদের মতে, ডিজনির পিকচার, লুকাসফিল্ম, মার্ভেল এবং ফক্স স্টুডিও কিনে নেওয়াতে এটি ডিজনিল্যান্ডকে একটি সাংস্কৃতিক একচেটিয়া মালিকানায় পরিণত করেছে।

একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, এই স্টুডিওগুলোতে ছয়টি মুভি ছিল, যেগুলো ২০১৯ সালে বক্স অফিসে এক বিলিয়নে মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে। এমনকি মহামারির আগে ডিজনির থিম পার্ক, সিনেমা ও নতুন স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলো থেকে বড় অঙ্কের মুনাফা পাওয়া সত্ত্বেও, ২০২০ সালের অক্টোবরের দিকে তারা বিস্ময়করভাবে থিম পার্কে কর্মরত ৩২ হাজার কর্মচারী ছাঁটাই করে।

আবার ডিজনিল্যান্ডের প্রবেশমূল্য নিয়েও সমালোচনার শেষ নেই। ডিজনি যেহেতু ডিজনিল্যান্ডকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী স্থান বলে দাবি করেছেন, সেই প্রসঙ্গে পল বিটি নামক একজন লেখক তাঁর ২০১৫ সালের বুকার পুরস্কার বিজয়ী উপন্যাস দ্য সেলআউটে লিখেছেন, ‘যদি ডিজনিল্যান্ড সত্যিই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী স্থান হতো, তাহলে এর প্রবেশ বিনামূল্যে হবে; একটি ছোট সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশের বার্ষিক মাথাপিছু আয়ের সমতুল্য নয়।’

ডিজনির অন্য একটি শিল্পকর্ম ডিজনিল্যান্ডের অনিয়ন্ত্রিত পুঁজিবাদের প্রতীক হিসেবে সমালোচিত হয়েছে। সেটি হলো ২০১৭ সালে শন বেকারের অসাধারণ একটি মুভি ‘দ্য ফ্লোরিডা প্রজেক্ট’; যার কাহিনি রচিত হয়েছিল ডিজনিল্যান্ডের ছায়ায় বসবাসকারী একটি কাল্পনিক পরিবারকে ঘিরে।

ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে এখন পর্যন্ত ৮৪ হাজার ৫৬৩টি ভোটের মাধ্যেমে ৭.৬/১০ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। ২ মিলিয়ন ডলারের বাজেটের দ্য ফ্লোরিডা প্রজেক্ট মুভিটি এখন পর্যন্ত বক্স অফিসে ১১.৩ মিলিয়ন ডলার আয় করে।

সমালোচকদের মতে, ডিজনিল্যান্ডকে যদি শিল্প এবং শিল্পীদের বৃহত্তর করপোরেট সংস্কৃতির মনোভাব থেকে আলাদা করা যায়, তাহলেই এটি পুঁজিবাদের বদলে একটি শিল্পকর্ম হিসেবে এর প্রাপ্য স্বীকৃতি পেতে শুরু করবে।

কোভিড পরিস্থিতির জন্য ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে পার্কটি বন্ধ রাখা হয়। ডিজনি কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৯৫৫ সালের পর মাত্র কয়েকবারই পার্কটি বন্ধ রাখা হয়েছিল; প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির মৃত্যুর দিন এবং ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ার ধ্বংসের দিন।

এত কিছুর পরেও ডিজনিল্যান্ডের জনপ্রিয়তা কিন্তু কমেনি, বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে। ডিজনিল্যান্ডের ওপর বেশ কিছু সিনেমাও তৈরি করা হয়েছে। জনপ্রিয়তার কারণে ডিজনিল্যান্ড পুরো পৃথিবীজুড়ে এক অনন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে আজীবন।

ডিজনিল্যান্ডের এই দারুণ সব সাফল্য দেখে যেতে পারেননি ওয়াল্ট ডিজনি। এর আগেই অর্থাৎ ১৯৬৬ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু তার স্বপ্নের ডিজনিল্যান্ড এবং ডিজনি কোম্পানির অসাধারণ সৃজনশীল সৃষ্টিকর্মের মধ্য দিয়ে পৃথিবীবাসীর মনে তিনি বেঁচে আছেন এবং থাকবেন চিরকাল।

সহসভাপতি, নোয়াখালী বন্ধুসভা