ষাটগম্বুজ মসজিদ প্রাঙ্গণে মিনি পাঠাগার নজর কাড়ছে সবার

পাঠাগার থেকে বই নিয়ে পড়ছে শিশুরা
ছবি: বন্ধুসভা

প্রতিবছর ‘একটি করে ভালো কাজ’সহ নানা আয়োজনে বন্ধুসভার বন্ধুরা পালন করেন প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। জেলা, উপজেলা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজসহ দেশের প্রতিটি বন্ধুসভা নিজ নিজ এলাকায় এটির আয়োজন করে থাকে। প্রথম আলোর রজতজয়ন্তী উপলক্ষে এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

গত ৩১ অক্টোবর বাগেরহাট বন্ধুসভা বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ প্রাঙ্গণের শিশু চত্বরে স্থাপন করে একটি উন্মুক্ত মিনি পাঠাগার। ‘বুক গ্যারেজ’ নামের পাঠাগারটি এরই মধ্যে সাড়া ফেলেছে ঘুরতে আসা শিশু–কিশোরসহ সব বয়সী দর্শনার্থীদের মধ্যে।

পাঠাগার থেকে পছন্দের বই খুঁজে নিচ্ছে কয়েকজন শিশু
ছবি: বন্ধুসভা

২ নভেম্বর ছুটির দিন হওয়ায় বাগেরহাটের ঐতিহাসিক এই স্থানে দর্শনার্থীদের সমাগম হয় বেশি। স্থানীয় লোকজনও ষাটগম্বুজ মসজিদে আসেন জুমার নামাজ পড়তে। নামাজ শেষে তাঁদের অনেককেই দেখা গেল এই বুক গ্যারেজের কাছে অপেক্ষা করতে। বিশেষ করে ছোট ছোট শিশুদের, নানা বই নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখা ও পড়ার আগ্রহ দেখা গেছে। কয়েকজনকে দেখা গেল পাঠাগার থেকে বই নিয়ে পড়ছে, আবার মন্তব্য বইয়ে (খাতা) কিছু লিখছে।

সেখানে গল্পের বই হাতে ১১ বছর বয়সী শেখ সাকিবকে পাঠাগার সম্পর্কে অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে সে বলে, ‘অনেক ভালো লেগেছে। সুন্দর সুন্দর ছবিসহ মজার মজার গল্পের বই আছে। অনেকেই এখানে এসে বই পড়তেছে। আমিও একটি গল্পের বই পড়ছি।’

একজন অভিভাবক বলেন, ‘আমাদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলাটা খুবই জরুরি। বিশেষ করে শিশু–কিশোরদের মধ্যে এটি ছড়িয়ে দিতে হবে। পাঠাগার গড়ে তোলাটা খুব সুন্দর একটা উদ্যোগ। আমাদের বাগেরহাটে এই ঐতিহাসিক স্থানে এমন সুন্দর পাঠাগার প্রথমবার দেখছি। খুবই আনন্দিত।’

সন্তানদের নিয়ে গোপালগঞ্জ থেকে ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, ‘সব‌ দর্শনীয় স্থানেই এমন মিনি পাঠাগার স্থাপন করা প্রয়োজন। আমাদের উচিত নিজে বই পড়া এবং অন্যকে পড়তে উৎসাহী করা। এখানে ভ্রমণের পাশাপাশি বই পড়ে সুন্দর সময় উপভোগ ও জ্ঞান অর্জন করতে পারবে দর্শনার্থীরা।’

ম্যাগাজিন সম্পাদক, বাগেরহাট বন্ধুসভা