অবেলার চিঠি
ওরা আর ফিরে আসেনি ডানার কাঁপনে,
হয়তো ওদেরও আছে প্রমাণ-বিহীন
একাকী সন্ধ্যার ভিড়।
কে এসে তখন খোঁজ নেবে?
কেরোসিনের কুপিটি এখনো
আধ-ভাঙা হাতলে ঝুলছে,
তবু জ্বলেনি কেউ।
সেই সময় হয়তো আমারও ছিল
নীল শাড়ির অপেক্ষায় ছুটে চলার তাড়না;
সেই অপেক্ষা কে-ই বা সহে!
আমিও পারিনি।
এখন অপেক্ষারই প্রহর গুনি,
ফিরতে হবে এমন কোনো বাড়ি নেই,
তবু বসে আছি।
নীল মার্বেলগুলো হয়তো
দগ্ধ বেদনায় ফিকে হয়ে এল,
কিশোরী চুলের রেশমি আচ্ছাদনে
ঢেকে গেছে সাদা আস্তরণ।
তোমার ছাই-রঙা গজ,
আর আরও কয়েকটি...
ওরা হয়তো বুঝতে শিখেছে,
কিংবা জানি না—
হয়তো কুপির কেরোসিন নিভে গেছে চিরতরে,
চারিদিকে তীব্র অন্ধকার।
এই ঘন অন্ধকারে আর কেউ
খোঁজে না উড়ে আসার গল্প।
কোনো এক অমাবস্যার রাতে
ভয়ংকর ঝড় উঠবে হয়তো,
বাতাসের দাপটে খুলে যাবে
জানালার সব কপাট,
শুকতারার ফিকে আলোয়
কেউ আবার হয়তো খুঁজবে...
ভালো থেকো, এই নির্জন অবেলায়।