আত্মদহন
মানুষ হবার অপরাধে দণ্ডিত জীবন
আছে দায় নিয়ম–নীতির
সমাজখ্যাতির অন্তরালে পিষ্ট
কর্তব্যের জাঁতাকলে অত্যাচারিত
এক অসহনীয় যুদ্ধের নাম জীবন।
হারিয়েছি সুখ–শান্তি কবে
অবলীলায় দিয়ে যাওয়া শ্রমে
অতঃপর জন্মদিনবৃদ্ধির আত্মদহন
অসুখে–বিসুখে ভালোবাসাহীন
অবজ্ঞা–অবহেলায় কাটবে শেষ সময়,
মূল্যায়ন পাবার অভ্যাসে বৃথা চেষ্টা
সংসারপ্রহরী হয়ে বাঁচার অদম্য প্রত্যাশা।
বাড়ছে সংখ্যা আর শঙ্কা
হঠাৎ যেতে হবে সব ছেড়ে
লাভ কী বলো, সংসারে ক্ষয়ে ক্ষয়ে
করে যাও, মরে যাও, মায়ার বাঁধনে।
কী নির্মম একাকিত্বে গোপনে
পরাধীন নিয়মতান্ত্রিকতা
শ্বাসরুদ্ধকর এক নিষেধাজ্ঞা
ওষুধে–পথ্যে সময়গুলো অন্ধকার
যেন ভালোবাসার সুউচ্চ কারাগার।
মায়াহীন, স্পর্শহীন অদৃশ্য শেকল
আছে কর্তব্যের বেড়াজাল
খুব ইচ্ছে হয়, চলো পাখি হই
বৃক্ষতলে পড়ে রই
মনের মতো যদি সব পাই
বাঁচি স্রেফ এই আশায়।