রক্তদীপ্ত স্বাধীনতা

লাল–সবুজ পতাকা।

সেই দিনগুলো মনে পড়ে,
শৃঙ্খলে ছিল দেশটা পড়ে।
আকাশ কাঁদে, বাতাস থামে,
কান্না মাখা মাতৃজনে।
বন্দী ছিল ভাষার অধিকার,
বন্দী ছিল প্রাণের স্পন্দন,
শিকল বাঁধা স্বপ্নগুলো
ছুটতে চায় নিরবধি বন।
তবু কি তারা হেরে গিয়েছিল?
না! তারা বজ্র হয়ে উঠেছিল!
হাজার প্রাণের দীপ জ্বলে,
অন্ধকারে জেগে চলে।
নদীর স্রোতে রক্ত গড়ায়,
শিশুর কণ্ঠ স্তব্ধ হয়ে যায়।
মায়ের কোলে আগুন জ্বলে,
জ্বলছে যেন বাংলার গলে।
তবু থামেনি বিদ্রোহের ঢল,
শপথ নিয়ে সামনে চল!
মাঠে মাঠে ঝড় উঠে যায়,
স্বাধীনতার গান শোনায়।

সবুজ ঘাসে লাল রক্ত পড়ে,
নদীর ধারে শহীদের ঘুম,
বুক চিরে আগুন ছোটে,
জয়ের মন্ত্র বাজে ধ্বনিময়।
বন্দুক হাতে বীরের কাফেলা,
স্বপ্ন দেখে স্বাধীন মেলা।
মাটির প্রতি অঙ্গীকার,
দাবিয়ে রাখা যাবে না আর!
জীবন দিয়ে পথ বানাল,
রক্ত দিয়ে পতাকা বাঁধল।
বুকের তলে আগুন জ্বলে,
নতুন দিনের আশা বলে।
শত্রুর হাতে থেমে রইবে?
না! ওরা বিজয় আনবে!
শবের মাঝে দাঁড়িয়ে থেকেও,
জয়ের স্বপ্ন আঁকবে ঠিক!
তারপর এল রক্তঝরা দিন,
চূর্ণ হলো শত্রুর বীণ।
দেখো রে সেই বিজয় নিশান,
উড়ছে আজ স্বাধীন প্রাণ!
১৬ তারিখ, সূর্য হাসে,
স্বাধীনতার আলো আসে।

মায়ের চোখে জল গড়িয়ে,
বিজয়গান বাজে মাটিতে!
লাল-সবুজের পতাকা উড়ে,
বীরের রক্ত ধুয়ে পড়ে।
স্বাধীন দেশ, স্বাধীন আকাশ,
বাংলা মোদের গর্বের আশ!
তবু কি শেষ? সংগ্রাম ফুরায়?
বিজয় মানে নতুন শপথ।
দেশের কাজে, সত্যের পথে,
চলতে হবে অগ্রসারথ।
দুর্নীতি আর অন্যায়ের ছায়া,
দূর করতে হবে, গড়তে হবে মায়া।
বীরের রক্ত বৃথা যাবে না,
বাংলা আবার জ্বলবে না!
স্বাধীনতা শুধু নাম নয়,
এটা আমাদের অঙ্গীকার।
বাংলা আমার, বাংলা তোর,
রাখব আপন আলো জ্বালিয়ে।
স্বাধীনতার আলো জ্বলুক চিরকাল,
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলুক উজ্জ্বল!