কোথাও যেন কেউ নেই

অলংকরণ: তুলি

কী ভীষণ শূন্যতা!
কোথাও যেন কেউ নেই, কিছুই নেই।
বুকভর্তি চৈতী দুপুরের খাঁ খাঁ রোদ্দুর,
দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে শস্যহীন শূন্য চৌচির মাঠ আর স্রোতহীন শীর্ণ নদীর যন্ত্রণা বুকে নিয়ে
কেটে যাচ্ছে দিন-মাস-বছর।

শুকনা পাতা ও ধূলিকণার হাহাকার ছাড়া
বিরান মেঠো এই প্রান্তরে আর কিছুই নেই।
কী ভীষণ শূন্যতা!
কোথাও যেন কেউ নেই, কিছুই নেই।

ভুল গাছ বেয়ে উঠতে চাওয়া লতার
পরিণতি নিশ্চিত জানে নিসর্গ,
সত্য হয়ে উঠতে থাকে দুর্ধর্ষ পতন
পাথরচাপা কষ্টে হামাগুড়ি খায় অতৃপ্ত আত্মা।

কেবল অনাদৃত নিঃস্ব অনাথের মতো
ছুটে যাওয়া অচেনা গহিন অন্ধকার পথে।
জীবনে আর যেন কোনো হেরে যাওয়া নেই,
নেই কোনো স্বপ্ন দেখা
মন খারাপের বিষণ্ন সন্ধ্যা নেই,  
ক্লান্তি নেই রাত জাগার, উদাস দুপুরে নেই প্রিয় কবিতা পড়ার ব্যাকুলতা,
নেই কোনো হৃদয় ভাঙার শব্দ।

কী ভীষণ শূন্যতা!
কোথাও যেন কেউ নেই, কিছুই নেই।
মধ্যরাতে অতৃপ্ত ইচ্ছেরা এসে ভিড় জমায়,
অঝোরে বৃষ্টি নামায় মনের উঠানে
বৃষ্টি নামায় চোখে।
কাচের চুড়ি আর নূপুরের সেই মনোহরা
শব্দগুলো হারিয়ে গেছে রাতের নিস্তব্ধতায়,
হারিয়ে গেছে আমার সমস্ত সত্তা আমি থেকে।
কী ভীষণ শূন্যতা!
কোথাও যেন কেউ নেই, কিছুই নেই।