একদিন সব সফলতাকে উপেক্ষা করে গ্রামে ফিরে যাব। আমার সুন্দরপুর গ্রাম, যেখানে আপনজনেরা আছে। পুরো গ্রামটাই আমার পরিবার। গ্রামের নাম যেমন সুন্দরপুর, বাস্তবেও রূপকথার মতোই সুন্দর। মায়া–মহব্বত, ভালোবাসা—সব আছে। আমার গ্রামের মতো ভালোবাসা পৃথিবীর আর কোথাও পাইনি।
সেখানে মা বসবাস করেন। পুরো পরিবার বসবাস করে। আমার জ্বর হলে মা বিছানার পাশে বসে সারা রাত সেবাযত্ন করেন। নিজের সব অসুস্থতা ভুলে তিনি আমার অসুখে চিন্তিত হয়ে পড়েন। জ্বর হলে খেতে না পারলে ছোট আন্টি আমার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে করলাভাজি করতে বসেন, যাতে আমি একটু হলেও খেতে পারি। বাবু হন্যে হয়ে দেশি মুরগি খুঁজে বেড়ায় গ্রামজুড়ে। প্রতিবেশী অনেকেই আমার খোঁজখবর নেন।
আমার গ্রামজুড়ে শুধু ভালোবাসা। পৃথিবীর যে প্রান্তেই যাই না কেন, এমন নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আর কোথাও পাই না। জ্বর এলে কেউ কপালে হাত দিয়ে জিজ্ঞাসা করে না, শরীরের অবস্থা কেমন? আমার সুন্দরপুরের খোলা আকাশের নিচে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে চাই, কোদলা নদীতে বন্ধুদের সঙ্গে সাঁতার কাটতে চাই, পাকা ধানের গন্ধ নিতে চাই, খেতের টাটকা সবজি আর নদীর মাছ খেতে চাই। গ্রাম ছাড়া এ সুখ কোথাও পাব না।
শিক্ষার্থী, শারদা ইউনিভার্সিটি, দিল্লি