আগুনের বাঁশি
আমি বরং উত্তাল সমুদ্রের মতো প্রেমে পড়ি,
ভাসিয়ে নিয়ে যাই নিজেকে ফেনিল জলরাশি সঙ্গে।
বারবার ছুঁয়ে যায় যে প্রেমের চরণ,
সে চরণ চুমি, বাসনায় বশীভূত হই।
আমি বরং আর একবার,
কান পেতে শুনে যাই কৃষ্ণের বাঁশি;
মরণ জেনে, জীবনের বুকে আঁচড় রাখি।
প্রেম—সে তো মুহূর্তের জোয়ার,
প্রেম এক তীব্রগতির স্রোত,
প্রেম আত্মধ্বংসের একপেয়ালা হেমলক;
আমরা শরাব ভেবে পান করি,
আকণ্ঠ ডুবে থেকে বাঁশরী বাজাই।
আমি বরং আবার প্রেমবিষে,
বিষ ক্ষয় করি।
সমুদ্র বুকে নিয়ে, ভরা পূর্ণিমা চন্দ্রমল্লিকা,
যেমন হয়ে উঠে ক্ষেপণাস্ত্র।
তেমনই ভালোবেসে অঙ্গার হই;
কে–বা কবে ভালোবেসে অক্ষত ছিল কভু?
ভালোবাসা—সে তো বিধ্বংসী,
আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ,
সর্বনাশা আগুন;
আগুন নিয়ে খেলে,
কে-বা কবে অঙ্গার হয়নি কভু?