আমি কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু চাই না
 শান্ত সুনিবিড় কোনো ছায়াঘেরা গৃহে
 আমি মরতে চাই না।
 আমি চাই না,
 মৃত্যুর আগে কেউ আমাকে—
 পাঁচ তারকা হাসপাতালের এইচডিইউ
 কিংবা আইসিইউতে টানাহেঁচড়া করুক।
 অথবা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোনো কক্ষে
 আমার মৃত্যুশয্যায় বসে থাকো তুমি।
আমার মৃত্যু হোক—
 প্রচণ্ড দ্রোহে, কিংবা দীর্ঘশ্বাস মাখা অভিশাপে।
 প্রেমহীন প্রেয়সীর ললাট বেয়ে নামা ঘাম
 কিংবা ক্ষিপ্র আঘাতে ফিনকি ছোটা রক্তের তাপে।
 আমার মৃত্যু হোক কোনো রাজপথে,
 দিগন্ত বিস্তৃত কোনো মাঠে,
 কোনো জনাকীর্ণ বাজার কিংবা ঘাটে।
 কারণ—আমি অপরাধী।
আমার অপরাধ—
 আমি নিজেই, যাকে তোমরা বল সত্ত্বা!
 যাপিত জীবনের অব্যক্ত সব কথামালাও
 আমায় অপরাধী করে,
 আমাকে নির্ঘুম রাখে রাতভর।
 আমার অপরাধ—
 আমার ভিন্ন চিন্তার শক্তি আর
 জগৎ সংসারে ঔদাসীন্য।
 তাই, আমি স্বাভাবিক কোনো মৃত্যু চাই না।
আমি চাই না,
 তোমার কোলে মাথা রেখে মরতে।
 আমি চাই না,
 মৃত্যুর আগে তোমার হাতে হাত ধরতে।
 আমি শুধু চাই,
 আমি যেন হঠাৎ—
 খুব হুট করে, বেঘোরে মরে যাই।
 মরে গেলে আর কি কিছু বাকি থাকে প্রিয়!
 যা দেখছ, যা শুনছ কিংবা যা ভাবছ,
 সবটাই যে শুধু ফাঁকি, তুমি জেনে নিও!