ভারতীয় লেখক-সাংবাদিক সাবা নাকভির লেখা ‘ইন গুড ফেইথ’ পড়ে একটি কৌতূহলোদ্দীপক তথ্য পাওয়া গেল। তিনি লিখেছেন, ‘বিমান ভট্টাচার্য- কালীঘাটের এক পূজারি ব্রাহ্মণ, যিনি কালীমায়ের পূজার পাশাপাশি তপসিয়ায় মানিকপুরের পীরের মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে যান প্রতিদিন। আর এই কাজটি তিনি একই ভক্তিতে দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে করে চলেছেন।’ ভাবতে অবাক লাগে, যেখানে উপমহাদেশজুড়ে সাম্প্রদায়িকতার অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়েছে, সেখানে একজন পূজারি ব্রাহ্মণ এই স্পিরিটটা পেলেন কোথায়? বিমান ভট্টাচার্যের এই বহুমুখী আধ্যাত্মিক সত্তার উৎসই–বা কোথায়?
সত্যি বলতে, বর্তমান প্রেক্ষপটে এ ধরনের সহিষ্ণুতার চর্চা করা বেশ কঠিন কাজ। তবে বাঙালি ও ভারতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মধ্যে এই সমন্বয়বাদিতা ও সহিষ্ণুতার চর্চা যে সুপ্রাচীন কাল থেকেই রয়েছে, সেটা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর জন স্ট্রাটন হাউলে তাঁর ‘আ স্টর্ম অব সংস: ইন্ডিয়া অ্যান্ড দ্য আইডিয়া অব দ্য ভক্তি মুভমেন্ট’ বইটি পাঠ করেও জানা যায়। তিনি দেখিয়েছেন যে, প্রাচীনকাল থেকেই ভারতবর্ষে ধর্মীয় সমন্বয়বাদের ঐতিহ্য ছিল এবং এখনো সেই ধারাটি জারি রয়েছে। বিষয়টি ভারতীয় লেখিকা নয়নতারা সেহগাল ১৯ নভেম্বর, ২০১৫ বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ঢাকা সাহিত্য উৎসবে দেওয়া ভাষণ থেকেও জানতে পারি। তিনি বলেন, উত্তর ভারতের মানুষ হিসেবে আমি সংস্কৃতিগতভাবে নিজেকে আধা মুসলমান মনে করি। সেহগাল আরও বলেন, অভিনেতা ও পতৌদি নবাবের ছেলে সাইফ আলী খান বলেছেন, “আমাদের এই মহান দেশ আসলে সংকর, আমাদের ভিন্নতাই আসলে আমাদের এমনটা বানিয়েছে। আমি গির্জায় প্রার্থনা করেছি, আবার আমার স্ত্রী কারিনার সঙ্গে মন্দিরে গিয়েছি। কারিনাও দরগা গিয়ে মাথা নত করেছে, মসজিদে নামাজ পড়েছে। আমরা যখন বাড়ি পরিশুদ্ধ করেছি, তখন হাভান আয়োজন করেছি, পবিত্র কোরআন পাঠের আয়োজন করেছি। আর একজন পুরোহিত পবিত্র জল ছিটিয়েছেন। আসলে ভারত যেন নানা সুতায় বোনা এক কাপড়ের মতো।’
সম্রাট শাজাহানকন্যা জাহানারা আত্মজীবনী থেকেও ভারতবর্ষের অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রনীতির নানা দিক সম্পর্কে জানা যায়। অন্তপুরবাসিনী এই রাজনন্দিনী নিভৃতে আত্মজীবনী লিখতেন। তাঁর রচিত আত্মজীবনীটি পরবর্তীতে দুর্গের ভগ্নস্তূপ থেকে আবিষ্কার করা হয়। মোগল সম্রাটদের মধ্যে আত্মজীবনী লেখার রেওয়াজ ছিল। মোগল বংশের প্রতিষ্ঠাতা তৈমুর লিখেছেন ‘মালফুজাত ই-তৈমুরা’, সম্রাট বাবর লিখেছেন ‘তুজুক–ই-বাবরী’। সম্রাট আকবরকন্যা গুলবদন বেগম লেখেন ‘হুমায়ুননামা’। জাহাঙ্গীর লেখেন ‘তুজুক–ই-জাহাঙ্গীর’। জাহানারার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, সম্রাট আকবর মনেপ্রাণে অসাম্প্রদায়িক ছিলেন। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি সমন্বয়বাদী নীতি অনুসরণ করতেন। দ্বীন–ই-ইলাহি প্রতিষ্ঠাকালেও তিনি সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা বলেছেন, মুহূর্তের জন্যও তিনি অমুসলমান বিশেষত, হিন্দুদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিস্মৃত হননি। তাঁর আমলে ইসলামের উদার ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রসার ঘটে ব্যাপকভাবে। নানা গুণের অধিকারী এই সম্রাট ছিলেন একাধারে প্রজাহিতৈষী, স্থিরপ্রাজ্ঞ, পরমতসহিষ্ণু, দয়ালু ও শিল্প-সাহিত্যানুরাগী। অন্যের মন জয় করার অলৌকিক ক্ষমতাও তাঁর ছিল। তিনিই প্রথম নৃপতি, যিনি বিশাল ভারতবর্ষকে একটি একক রাজনৈতিক কর্তৃত্বের অধীনে নিয়ে আসেন। রাজপুত জমিদারেরা অন্য সম্রাটদের কাছে বশ্যতা স্বীকার না করলেও সম্রাট আকবরের আদেশ মেনে নিয়েছিলেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে। আকবর রাজপুতদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলার জন্য রাজপুতকন্যা যোধাবাঈয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। আকবরপুত্র জাহাঙ্গীরের ধমনীতে ছিল অর্ধেক মুসলমান-মোগল রক্ত এবং অর্ধেক হিন্দু-রাজপুত রক্ত। জাহাঙ্গীরের স্ত্রী অর্থাৎ শাহজাহানের মাতাও ছিলেন রাজপুতকন্যা। রাজপুতরা সম্রাট আকবরের গুণগ্রাহী ছিলেন; আকবর রাজপুতদের আপনজন মনে করতেন, রাজপুতরাও সম্রাটের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার জন্যে মুসলমানদের সঙ্গে সম্প্রীতি বজায় রেখে চলত।
মোগল-রাজপুত সুসম্পর্কের কারণে সম্রাজ্যের রাজনৈতিক সংহতি সুদৃঢ় হয়। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, জীবনচর্চা, শিল্প-সংস্কৃতিচর্চায়। এক পর্যায়ে মোগলরা ভারতীয় হয়ে ওঠেন আর রাজপুতরাও পারস্য সংস্কৃতির অনেক কিছুই আত্তীকরণ করে নেয়। রাষ্ট্র ও সমাজের উচ্চ থেকে নিম্নস্তর পর্যন্ত সর্বত্র উদার, সহনশীল, সমন্বয়বাদী চিন্তা ও ভাবুকতার বিস্তৃতি ঘটে। জওহরলাল নেহেরু তাঁর ‘ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া’ গ্রন্থে লিখেছেন, তাঁর (আকবর) রাজসভা সব ধর্মের লোকের, এবং যাঁরাই নতুন মতপ্রচার করেছেন কিংবা নতুন কিছু উদ্ভাবন করেছেন, তাঁদের মিলনের স্থান হয়ে উঠেছিল।’ তাঁর রাজসভায় যেমন আবুল ফজল, আবদুর রহিমের মতো মুসলিম বিদগ্ধজনেরা ছিলেন, তেমনি বীরবল, রাজা মানসিংহরাও ছিলেন। তিনি সব ধর্মমতের জন্য এতই উদার ছিলেন যে গোঁড়া মুসলমানরা তাঁকে অপছন্দ করত। সব মানুষের জন্য গ্রাহ্য একটা ধর্মমত প্রবর্তন করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তাঁর রাজত্বকালে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক জোরদার হওয়ায় পরস্পরের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান বৃদ্ধি পায়। মোগল সংস্কৃতিকে অসাম্প্রদায়িক ও সহনশীল করতে আরও যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন, তাঁদের মধ্যে সম্রাট শাহজাহানপুত্র দারাশিকো অন্যতম। উপনিষদের সারমর্ম অবলম্বনে তিনি রচনা করেন ‘সর–ই-আসবারে’। কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বসে জাহানারা যে আত্মকথা রচনা করেন, তাকে অসাম্প্রদায়িক ভাবনার মূল্যবান দলিল হিসেবে শনাক্ত করেছেন এ কালের বিদগ্ধ ভাবুক-চিন্তকেরা।
পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু ভারতবর্ষের রাজনৈতিক সংহতি ও স্থিতিশীলতার জন্য বহুত্ববাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
বলতে দ্বিধা নেই, মোগল আমলে অনেক হিন্দু মন্দির ধ্বংসের এবং হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু হিন্দু নির্যাতনের সেই ইতিহাস তর্পণ করে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন করা কি ঠিক? নিশ্চিয়ই কোনো বিবেকবান রাজনীতিক এমনকি উগ্র সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিও এটি সমর্থন করবেন না। আজ ধর্মের নামে উগ্রতা সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতিতেও উগ্রবাদ বেড়ে চলেছে। অথচ সব ধর্মসম্প্রদায়ের ধর্মপালনের অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের পবিত্র দায়িত্ব।
মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিক ও লেখক রাহুল সাংকৃত্যায়ন তাঁর ‘আকবর’ নামক গ্রন্থে বলেছেন, অশোকের পর আমাদের দেশে দ্বিতীয় মহান ধ্রুবতারা আকবর। অশোকের মতোই আকবর ছিলেন সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি আস্তিক ছিলেন, তাঁর মনস্তত্ত্বে ও জীবনচর্চায় নাস্তিকতার স্থান ছিল না। তিনি বিশ্বের সব ধর্মকে সত্য ও মহৎ বলে জানতেন এবং মানতেন। এখান থেকেই ভারতবর্ষ তথা বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্রের অসাম্প্রদায়িকতার ভিত্তি রচিত হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠনের প্রেরণাও আমরা তাঁর কাছ থেকে পেয়েছি। আজ উপমহাদেশজুড়ে একটি প্রশ্নই বারবার উচ্চারিত হচ্ছে, কোন দর্শনের আলোকে আমরা চালিত হব? অশোক-আকবরের দেখানো অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথে, নাকি উগ্র ধর্মান্ধতার পূঁতিগন্ধ সর্বাঙ্গে লেপটে নিয়ে অন্ধকারের পথে? সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে একসঙ্গে চলব, নাকি বিচ্ছিন্ন হয়ে একা একা চলব? আজ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ বিশ্বমানব সমাজ এক গভীর সংকটের মুখোমুখি। আজকের এই সমস্যাদীর্ণ রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে সম্রাট শাহজাহানকন্যা জাহানারার গ্রন্থটি আলোকবর্তিকা স্বরূপ।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু ভারতবর্ষের রাজনৈতিক সংহতি ও স্থিতিশীলতার জন্য বহুত্ববাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। ভারতের বর্তমান শাসকদেরও ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে নেহেরুর দেখানো বহুত্ববাদ ও অসাম্প্রদায়িকতার পথে অগ্রসর হতে হবে। সব প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি বজায় রাখতে বাংলাদেশকেও অসাম্প্রদায়িক মানবিকতার পথেই চলতে হবে। দ্বিজাতিতত্ত্ব ভিত্তিক বিভাজনমূলক, ধর্মাশ্রয়ী অপরাজনীতি পরিত্যাগ করে উদার অসাম্প্রদায়িক মানবিক দর্শনের ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হবে। ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতিকে পরাস্ত করে যে দেশের অভ্যুদয়, সে দেশ কেন সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের অন্ধগলির দিকে পা বাড়াবে? আর কেনই–বা পাকিস্তানি সাংস্কৃতিক আদর্শ গ্রহণ করে ভ্রান্ত পথে চালিত হবে? পাকিস্তানিরা তো স্পর্শকাতর ধর্মভিত্তিক আবেগকে ব্যবহার করে আমাদের হীনম্মন্য করে রেখেছিল। তাদের দর্শন ও সাংস্কৃতিক আদর্শ নির্মিত হয়েছিল কেবল ভারতবিরোধী প্রত্যয় থেকে। পাকিস্তান দেশ-জাতির জন্য এমন এক দর্শন ও সাংস্কৃতিক পরিচয় দাঁড় করাতে চেয়েছিল, তার ভিত্তি ছিল কেবল বিদ্বেষ ও বৈরিতা। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ এমন দর্শনহীন ঋণাত্মক আদর্শের পথে পা বাড়াবে না। অসাম্প্রদায়িকতা, মানবিকতা, সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রশ্নে বাংলাদেশ কোনো অশুভ শক্তির সঙ্গে আপস করবে না।
১৯৪৭ সালের আগে ও পরে ধর্মের নামে কম সংঘাত হয়নি। এসব সংঘাতের জন্য কেবল ইংরেজদের ভেদনীতি কিংবা জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বকে দোষারোপ করে দায় সারলে চলবে না। আমাদের জেদ, অহমিকা, পারস্পরিক অবিশ্বাস, অন্ধত্বও যে সংঘাত-বিদ্বেষ সৃষ্টির জন্য দায়ী, সেটাও স্বীকার করতে হবে। ঐতিহাসিক ও রাজনীতি-বিশ্লেষকেরা বলেন, সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধির বীজ আমাদের সমাজ-রাজনীতির ভেতরেই নিহিত ছিল, ইংরেজ কিংবা পাকিস্তানিদের অপরাজনীতি কেবল তা উসকিয়ে দেয়। ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয় যে এদেশের অধিকাংশ মুসলমান এই ভূখণ্ডের সন্তান। তাঁরা বহিরাগত নন, তারা হিন্দু বা অন্য ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত মুসলমান। কাজেই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এ ভূখণ্ডে যাঁরা বসবাস করছেন, তারা নিশ্চিতভাবেই মুসলমানদের আত্মীয় ও পূর্বপুরুষ। আত্মীয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব-বিরোধ করতে নেই। বিরোধ বাধলেও তার মিমাংসা জরুরি। সারা দুনিয়ার মুসলমান সম্প্রদায়কে এক প্রাণ, এক জাতি ভাবা যেমন বিজ্ঞানসম্মত নয়, তেমনি এক জল-হাওয়ায় পরিপুষ্ট, একই গাত্রবর্ণের হিন্দু-মুসলমানকে আলাদা ভাবাটাও অনৈতিহাসিক। ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভূগোল, রাজনীতি, নৃতাত্ত্বিক গঠনের নিরিখে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক দেখা দরকার। শতাব্দীর পর শতাব্দী পাশাপাশি বাস করার পরও এক ধর্মের অনুসারীরা অপর ধর্মের লোকজনকে খুন করেছে। এই হানাহানি, খুনাখুনি করে কেউ কি লাভবান হতে পেরেছে? আমার জানা নেই। বিকৃত-ভ্রান্ত ইতিহাসের দায় আমরা বয়ে বেড়াচ্ছি বছরের পর বছর ধরে। ভারতে মুসলমানরা হত্যার শিকার হয়েছে তো হিন্দুরা হয়েছে বাংলাদেশে কিংবা অন্যত্র। রবীন্দ্রনাথ পল্লিকবি জসীমউদ্দীনকে বলেছিলেন, ‘কেন যে মানুষ একের অপরাধের জন্য অপরকে মারল। ও দেশের মুসলমানেরা হিন্দুদের মারল। তাই এ দেশের হিন্দুরা মুসলমানদের মেরে তার প্রতিবাদ করবে। এই বর্বর মনোবৃত্তির হাত থেকে দেশ কীভাবে উদ্ধার পাবে, বলতে পার?’ জানি না, কবে এই বর্বরতার অবসান হবে, আর কবে যে আমরা মুক্তি পাব! তারপরও মানুষের প্রতি বিশ্বাস রেখে বলতে চাই, মানুষই আমাদের শেষ আশ্রয়।
প্রাবন্ধিক ও লোকগবেষক এবং সহযোগী অধ্যাপক, মেহেরপুর সরকারি কলেজ