কানে কানে কী কথা হলো তাঁদের মধ্যে

ম্যাচ শেষে লিওনেল মেসির কানে কিছু একটা বলেন রবার্ট লেভানডফস্কি
ছবি: রয়টার্স

অন্যতম ফেবারিট হয়ে বিশ্বকাপে খেলতে আসার পর প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের বিপক্ষে হোঁচট। এমন পরাজয়ে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের শঙ্কাও জাগে! তবে সব শঙ্কা দূর করে মেক্সিকো ও পোল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। ভক্তরাও যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন। তাঁদের প্রিয় তারকা ও দলটির অধিনায়ক ‍লিওনেল মেসির যে এটাই শেষ বিশ্বকাপ। সবার একটাই চাওয়া, সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর হাতে যেন এবার বিশ্বকাপের অধরা সোনালি ট্রফিটাও জায়গা পায়।

এদিকে গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনা ও পোল্যান্ডের ম্যাচে এক অনাকাঙ্ক্ষিত দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে। ম্যাচের তখন একেবারে শেষ মুহূর্ত। আর্জেন্টিনার জয় প্রায় নিশ্চিত এবং পোল্যান্ডও শেষ ষোলোয় কোয়ালিফাই নিশ্চিত করার পথে। কিছুক্ষণের মধ্যেই রেফারি শেষ বাঁশি বাজাবেন। ঠিক এমন সময় মাঝমাঠে বল দখলের লড়াইয়ে মেসিকে ফাউল করে বসেন পোলিশ অধিনায়ক রবার্ট লেভানডফস্কি। ঘটনা এখানেই শেষ হতে পারত! কিন্তু মেসির চেহারায় প্রচণ্ড বিরক্তি প্রকাশ পায়। সেটা দেখে লেভানডফস্কি এগিয়ে এসে ক্ষমাও চান। তবে মন গলাতে পারেননি সম্ভবত।

যদিও শেষ বাঁশি বাজার পর দুই তারকা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং কানে কানে কথাও বলেছেন। সেই দৃশ্য নিয়ে ভক্তদের মনে নানা ভাবনা। কী কথা হলো সময়ের সেরা দুই তারকার মধ্যে?

ম্যাচ শেষে লিওনেল মেসিকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি গোপন কথা খোলাসা করতে চাননি। বলেছেন, ‘মাঠ এবং মাঠের বাইরে আমি সবাইকে সম্মান করি। কোনো সমস্যা হয়নি।’ কী কথা হলো, এমন প্রশ্নে মেসি বলেন, ‘কিছুই না। সে (লেভানডফস্কি) স্প্যানিশ বলতে পারে না। আমি মনে করি মাঠে যা কিছু ঘটে, সেটা মাঠেই থাকা উচিত এবং ড্রেসিংরুমে যা ঘটে, তা–ও ড্রেসিংরুমে থাকা উচিত।’

অপর দিকে রবার্ট লেভানডফস্কি বলেন, ‘এটা দারুণ একটি লড়াই ছিল। লিওর (মেসি) সঙ্গে ঘটে যাওয়া ব্যাপারটি কেবল একটি মুহূর্ত। আমরা কিছু কথা বিনিময় করি। তবে তেমন বিশেষ কিছু না।’

ম্যাচটিতে একটি পেনাল্টি মিস করেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এটা নিয়ে চরম হতাশ তিনি। খেলা শেষেও তা প্রকাশ করেন। মেসি বলেন, ‘পেনাল্টি মিস করায় আমি নিজের ওপর বিরক্ত। তবে আমার ভুলের পরও দল শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমরা জানতাম, একটি গোল হলে পুরো খেলা পরিবর্তন হয়ে যাবে।’