মুক্তির স্লোগান
আমি তো শুধু সত্য বলতে চেয়েছিলাম
এই ছিল অপরাধ!
শুধু নৃশংসতা, অত্যুগ্রতার করেছিলাম প্রতিবাদ।
নিয়ে যাওয়া হলো জোরপূর্বক টর্চার সেলে,
মুখ বেঁধে দেওয়া হলো ধূর্ততার কিছু অপ্রতিরোধ্য চ্যানেলে।
চুপ! একদম চুপ!
আওয়াজ হলে রিপোর্ট তুলে ধরব এক্ষুণি মেলে।
আমি তো শুধু মিথ্যা চরণের সমুচিত জবাব দিয়েছিলাম,
হা হা হা! প্রত্যুত্তর দিতে এসেছ নারী?
তোমার বিরুদ্ধে এক্ষুণি হবে মামলা জারি।
এ সংসার রাজ্যে তা করতে হয় না রে বোকা!
জাত্যংশের অন্ত্রে আধিপত্য করছে যে ঘুণপোকা।
নিবৃত্তি যদি চাও, উৎপাত শূন্যতা যদি চাও,
মূক–বধির আর অন্ধ সেজে থাকতে হবে রে,
অনৌচিত্য দেখতে নেই, শুনতে নেই, বলতে নেই,
বলো গগন, বলো মহীধর, বলো অর্ণব, বলো পবন,
সত্যি কি আমাদের মানুষ বলা চলে?
বলো তোমরা কত আর নিশ্চুপ রবে?
জানি তোমরাও আমার মতোই বাক্শক্তিহীন—
আর্তনাদ পৌঁছাতে পারবে না কারও শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে,
অক্সিজেন–শূন্য রিমান্ডের মৃত্যুপুরীতে আমি যে আটকে।
সত্যের মুখে মিথ্যার বিষ নিষ্পেষণে প্রতিদিনই দিচ্ছে খাইয়ে,
কুচক্রীদের বিষের যন্ত্রণায় প্রাণটা যায় যেন বেরিয়ে!
তবু বোবা আত্মা নিষ্কলুষ সংগ্রামে দিবেই দেবে ডাক!
নির্মল বাতাবরণের মুক্তির স্লোগান লিখতে বসেছি নির্বাক।
ছিন্নভিন্ন করে দেব অদৃশ্য ঐ অনৃজু শৃঙ্খলের কারাগার,
অমূলক স্বরধ্বনিগুলো পাঠাব বর্ণময় শোধনাগার।
মুক্তি চাই, মুক্তি চাই শ্বাসরুদ্ধকর অব্যক্ত যথারুপ সৌষ্ঠব অবস্থার।