শখের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
কবিতাটি ২০২৪ সালের জুনে প্রকাশিত বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের ‘তারুণ্য’ ম্যাগাজিনের দশম সংখ্যা থেকে নেওয়া।
সময়ের ঘুড়ি উড়ছে
বয়ে চলছে জীবনের খেয়া ;
নৈমিত্তিক ব্যস্ততায় হারাচ্ছে মুহূর্তরা,
ছোঁয়া যায় না, তবে আফসোস করা যায়।
বিরামহীন চিন্তার নাগরদোলায় দুলতে দুলতে
পাললিক শিলার মতো নিশ্চুপ হয় মানুষ।
মলিন শখগুলো আটপৌর শাড়ি কিংবা খাদি পাঞ্জাবি
পরে দিনকে দিন শরীর বদলায়,
সুখের পরিচর্যা করতে সবাই ব্যস্ত।
আচ্ছা, এভাবে ছেড়ে যেতে শখেদের কষ্ট হয় না?
হতাশ চোখে রোদ চশমা লাগিয়ে হাঁটলেও-
হতাশারা উপচে পড়ে ঘাম হয়ে!
চারিদিকে এত মানুষ, এত হাসিমাখা মুখ
তবু, নির্ভার মানুষ কি চোখে পড়ে?
ঈশ্বর নাটাই সুতো ছাড়ছেন,
উড়ছে সময়ের ঘুড়ি-
বিষণ্ণতার জন্মদিনে মধ্যবিত্ত মুমূর্ষু শখগুলো আর্তনাদ করে-
‘হে ভগবান, জীবন মানেই কি হতাশার জয়গান?’
অদৃশ্য ঈশ্বর কিছু একটা বললেও পৌঁছায় না ট্রাফিক হর্নে বিধ্বস্ত কানে।
কেউ চাকরি খুঁজতে খুঁজতে, কেউ সংসারের ঘানি টানতে টানতে, বাতাসের কানে কানে বলে,
‘জন্মান্তর নামে কিছু থেকে থাকলে, পরজন্মে শখের পরিচর্যা করব, সুখের নয়।’