ফিনিক্স পাখি

যে চিঠি ডাকঘরে পৌঁছায় নাছবি: সংগৃহীত

প্রিয় নীলিমা,

নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে আজ তোমাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার প্রথম চিঠি। অনেক দিন আগে থেকেই আসলে এই চিঠি লেখার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আজকেই কেন চিঠি লিখলাম, সে কথা জানতে চাও তো? আসলে আজকে আমি আকাশে অনেকগুলো ফিনিক্স পাখি উড়ে যেতে দেখলাম, ঠিক তোমার নীলিমাকে কেন্দ্র করে। আচ্ছা তুমি কি জানো, ফিনিক্স পাখি কেন নীলিমার দিকে উড়ে যায়? মনে হয় জানো না। ফিনিক্স পাখির জীবন যখন শেষ হয়ে যায়, ঠিক তখনই সে আবার নতুন করে বাঁচতে তোমার কাছে যেতে চায়। আমি খুব আশ্চর্য হয়ে যাই তোমার শক্তি দেখে। তুমি কি জানো, তোমার ভেতরে নতুন করে জীবন দেওয়ার শক্তি আছে? হয়তো জানো না।

বহুকাল ধরে আমারও ইচ্ছা ছিল তোমার কাছে যাওয়ার। কিন্তু আমি তো মানুষ, পাখি নই। সত্যি যদি ফিনিক্স পাখি হতাম, তাহলে একমুহূর্ত দেরি করতাম না! তোমার নীল ছায়াতলে বেঁচে থাকার আশায় ছুটে যেতাম। যেতাম আমার নীলিমার কাছে। হয়তো সেটা আমার ভাগ্যে নেই। যাহোক, এই যে পৃথিবীর মাটি থেকে তোমার রূপের আগুন আর জীবন দেওয়ার ক্ষমতা দেখতে পাই, তাই–বা কম কিসে! যত দিন বেঁচে আছি, আমি তোমার কাছে উড়ে যেতে না পারি, মাটি থেকেই তোমার আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে চাই। অন্তত এই অধিকারটুকু তুমি কেড়ে নিয়ো না।

আজকে যখন ফিনিক্স পাখিগুলো উড়ে যাচ্ছে তোমার দিকে, তাদের চোখে আমি দেখতে পাই একরাশ নীল ভালোবাসা। আরও দেখতে পাই নতুন পাখা; যে পাখার শব্দে পৃথিবী আবার নতুন করে জেগে ওঠে। এসব দেখে আমি না নিজেকে আর আটকে রাখতে পারলাম না। অনেকক্ষণ আবোলতাবোল বকে গেলাম। তুমি আবার কিছু মনে করো না।

পৃথিবীর প্রতিটি দিন তোমার নীল আকাশের সাদা মেঘে উজ্জ্বল হয়ে উঠুক। আর আমি? আমি নাহয় তোমার নীলিমার ভালোবাসায় সিক্ত হলাম।
আজকে আর কথা বাড়াব না।

ইতি,
মাটির পৃথিবীতে তোমার কষ্টের নীল