অসমাপ্ত সমীকরণ
সারা দিনের তপ্ত রোদের বিকিরণের পরে
শ্রান্ত হয়েই হেলে পড়ে বিকেলের সূর্য
মৌনময় সূর্যটাই আকাশে সাতরঙা আবির ঢেলে
ধূসর অস্তরাগে গোধূলি সাজিয়ে
টুপ করে ডুবে গিয়ে শহরের বুকেও সন্ধ্যা নামায়।
বারান্দার গ্রিলে মাথা ঠেকিয়ে গোধূলি কাটিয়ে
নিয়ন আলোর শহরের সান্ধ্য কোলাহল দেখি...
কোথায় ছিলাম, কোথায় আছি, যাব কোথায়!
কেমন বয়ে গেল সময়, কেমন হবে অদেখা ভবিষ্যৎ;
রাতের নৈঃশব্দ্যে লেখা হবে কি নতুন প্রেমকাব্য;
নতুন আবেদনে ফিরবে কি এককালের সুধা সুখ!
এমনি কিছু হিসাব–নিকাশে অপূর্ণতার ব্যথায়
হৃদয় সমুদ্রে তোলপাড়ে জোয়ার ওঠে।
অবচেতনে চোখ ভিজে ঝাপসা করে সম্মুখের দৃষ্টি।
ঠিক তখনই সেই ঝাপসা দৃষ্টিতেই স্পষ্ট দেখতে পাই
ফুলেল বারান্দার ফাঁক গলে পাশেরবাড়ির ওপর
স্নিগ্ধ সন্ধ্যাকাশে ঝুলে আছে রুপালি বাঁকা চাঁদ।
সেই বাঁকা চাঁদটা আমাকে দেখে
অকারণেই বড় বেশি তাচ্ছিল্যে হাসে!