প্রিয় বাবা,
আমার এ চিঠি তুমি পাবে না জানি, তবু তোমাকে লিখছি। আমার কোনো খুশির খবর কখনোই তোমার অজানা থাকত না। খুশির খবরগুলো তোমাকে জানাতে না পারলে আমিও কখনো শান্তিতে থাকতে পারতাম না। পত্রিকায় প্রকাশিত আমার গল্পগুলো প্রথমবারের মতো বই আকারে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। আজ তুমি যদি থাকতে, তোমার খুশি দেখার জন্য আমাদের বাড়িতে জনতার হাট বসে যেত।
বাবা, আমার মনে পড়ে, যেদিন আমার লেখা গল্প পত্রিকায় প্রকাশিত হতো, সেদিন তুমি সেই পত্রিকার অনেকগুলো কপি কিনে ফেলতে। বোনদের বাড়িতে পত্রিকার একটা করে কপি পাঠাতে, আনন্দ বিলি করতে। পাড়াপ্রতিবেশীদের বাড়িতে গিয়ে আমার গল্প তাদের পড়ে শোনাতে। বাংলা ভাষায় লেখা, গ্রামবাংলার খেটে খাওয়া হতদরিদ্র মানুষের জীবন নিয়ে লেখা। কত গল্পই-না তুমি তাদের কাছে করতে। বাবা, আমার গল্প লেখা বন্ধ হয়নি। গল্প লিখি, পত্রিকায় তা প্রকাশিতও হয়। কিন্ত তোমার মতো পাঠক তো আমি আর পাচ্ছি না।
ইতি
তোমার অতি প্রিয় লেখক ছেলে
ফেঞ্চুগঞ্জ, সিলেট