দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আজ চন্দনা দেশে ফিরছে। আমি ঘণ্টা দুয়েক আগেই বিমানবন্দরে পৌঁছে গেলাম। তাঁকে দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি। যাওয়ার সময় চন্দনা বলেছিল তার ফেরার জন্য অপেক্ষা করতে। আমি অপেক্ষা করে আছি, হাতে একগুচ্ছ রজনীগন্ধা। ফুলের গন্ধ আমার নাকে আসছে।
চন্দনা রজনীগন্ধা ফুল খুব পছন্দ করে। যাওয়ার দিনও আমি তাকে রজনীগন্ধা দিয়েছিলাম। দূর থেকে দেখলাম চন্দনা আসছে। আজ তার সঙ্গে একজন বিদেশি। আমার কাছে আসতেই পরিচয় করিয়ে দিল। তারা সদ্য বিয়ে করেছে। তবুও আমি রজনীগন্ধা এগিয়ে দিলাম। চন্দনা সেটি নিল না। তার নাকি রজনীগন্ধার ঘ্রাণে অ্যালার্জি হয়েছে। তার শরীরজুড়ে কড়া পারফিউমের ঘ্রাণ!