আজ বিশ্ব ম্যানগ্রোভ দিবস
ম্যানগ্রোভ হলো একধরনের বিশেষ শ্বাসমূলীয় উদ্ভিদ, যা সাধারণত সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলের নোনা পানিতে জন্মায়। সুন্দরী, গেওয়া, পশুর, ধুন্দল, কেওড়া, বাইন, গোলপাতাসহ মাত্র ১১০টি প্রজাতি ম্যানগ্রোভ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ। বাংলাদেশের সুন্দরবনে উল্লিখিত বৃক্ষগুলো পাওয়া যায়। সুন্দরবন পৃথিবীর একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে পরিচিত। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার অংশবিশেষ নিয়ে এ বনাঞ্চল গড়ে উঠেছে।
এই বনাঞ্চল মূলত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও উপক্রান্তীয় উপকূলীয় অঞ্চলে বেশি হয়। পৃথিবীর পুরো ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের ৪৩ শতাংশ ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া ও নাইজারে অবস্থিত। বাংলাদেশে সুন্দরবন ছাড়া কক্সবাজারে মাতামুহুরী নদীর মোহনায় ম্যানগ্রোভ বন রয়েছে।
আজ ২৬ জুলাই, বিশ্ব ম্যানগ্রোভ দিবস। ১৯৮০ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংস হতে শুরু করেছে। তাই জীববৈচিত্র্য অক্ষুণ্ন রাখা এবং এর প্রতিবেশ সুরক্ষার আহ্বান জানিয়ে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্বব্যাপী সচেতনতামূলক বিভিন্ন সভা-সেমিনারের আয়োজন করে থাকেন পরিবেশ রক্ষাকারীরা। ২০১৫ সালের সাধারণ অধিবেশনে ইউনেসকো দিনটিকে স্বীকৃতি দেয়।
ম্যানগ্রোভ বৃক্ষগুলো সমুদ্রের জোয়ারের ঢেউ আটকে উপকূলকে রক্ষা করে। পাশাপাশি মাছ ও ক্রাস্টেসিয়ানের মতো অনেক প্রাণীর জন্য সমৃদ্ধ আবাস তৈরি করে। জোয়ার ও সুনামির প্রভাব প্রশমন করে। স্থলজ বনের তুলনায় বায়ুমণ্ডল থেকে পাঁচ গুণ বেশি কার্বন ডাই–অক্সাইড অপসারণ করে উপকূলীয় বন।