মামার দেওয়া ১০ টাকার আনন্দ

ছোটবেলা

‘মামার বাড়ি মধুর হাঁড়ি’ কথাটি বহুল প্রচলিত। ছোটবেলায় মামাবাড়ি বেড়াতে যাওয়ার মজাই ছিল অন্য রকম। যাওয়ার দিন ঠিক হলেই মনের ভেতর অন্য রকম অনুভূতির জন্ম হতো। নতুন পোশাক পরে মা–বাবার হাত ধরে ছুটতাম মামার দেশে। সেখানে গিয়ে সে কী আনন্দ! লেখাপড়ার কোনো ঝামেলা নেই। নেই মা-বাবার বকাবকি। সারা দিন দুষ্টামি আর খাওয়াদাওয়া।

পিঠাপুলি খাওয়া ছিল অন্য রকম আকর্ষণীয়। প্রতিবেলাতেই নানা পদের নতুন নতুন পিঠা আর খাবার থাকত। আরও বেশি আনন্দ ছিল বাড়িতে ফেরার সময় মামার কাছ থেকে সালামি পাওয়া। অবশ্য ফেরার সময়টা কষ্টেরও হতো। কিন্তু মামার কাছ থেকে পাওয়া সেই টাকার আনন্দ কষ্টকে অনেকটা লাঘব করে দিত। যদি কখনো টাকা দিতে মামা ভুলে যেত, তখন ঠিকই টাকা চেয়ে আনতে আমার ভুল হতো না।

খুব ছোটবেলা থেকে মামা প্রতিবার আমাকে চকচকে নতুন ১০ টাকার নোট দিত। সেই টাকা আম্মুর কাছে জমা রেখে পুরোনো একটি নোট নিয়ে খরচ করতাম। বড় হওয়ার পর মামার দেওয়া টাকার পরিমাণও বাড়তে থাকে। ১০ টাকা থেকে এখন হাজার টাকায় পৌঁছেছে। কিন্তু ছোটবেলার সেই ১০ টাকার আনন্দ আজ হাজার টাকায়ও হচ্ছে না। এখন হাজার টাকার নোট পকেটে থাকলেও সেই ১০ টাকার আনন্দটা আর পাওয়া যায় না।

বন্ধু, ড্যাফোডিল বন্ধুসভা