নূপুর

হেমন্তের ভোর।

অঘ্রাণের কুয়াশাচ্ছন্ন অস্পষ্ট পথে—
শিশিরের সঙ্গে মিশে কে যেন ছুঁয়ে দিল আমায়।
চাঁপা ফুলের মতো আঙুলদ্বয়ে আঙুল ছোঁয়াল
কেউ; ঈষৎ নত হয়ে!
শেফালি ফুলের নূপুর পায়ে পরিয়ে—
চুপে গেল অদৃশ্য অস্পষ্ট পথে।
তারপর বসন্ত এল, বর্ষা এল,
এল না কেবল হেমন্ত।
এল না আর কুয়াশাচ্ছন্ন অঘ্রাণের সকাল।
মেঠোপথে রোজ কুয়াশায় পা ভিজিয়ে যায়,
নূপুর আসে যদি কুয়াশার ডানায়!
হেঁটে চলি সহস্র বছর, মেঠোপথে—
পথপ্রান্তরে। অলীক ছোঁয়ার প্রতীক্ষায়...
এসেছে আবার অঘ্রাণ বিকেলের অতল গহ্বরে,
বাতাসে বাতাসে!