দুপুরের গদ্য

প্রকৃতির মাঝে হাঁটলে মন ভালো হয়

নৈঃশব্দ্যের পদরেখার চিহ্ন ধরে আরও একটি নতুন সকালের সন্ধান পেয়েছি। গন্তব্যহীন ক্লান্ত-শ্রান্ত মুসাফিরের মতো মুঠোভরতি বিষণ্নতা আর বিমর্ষতার তুমুল হাহাকার নিয়েও অবাক বিস্ময়ে দেখছি সূর্যের উত্থানকাল। নতুন দিনের নতুন সূর্যকিরণে শুকাতে দিয়েছি জাগতিক সব বিষণ্নতা।

তোমার প্রস্থানের দীর্ঘতর বিষাদের ছোঁয়ায় নিমফলের মতো তিক্ততায় ভরে গেছে সকালের সোনালি রোদেরা। ঘাসফুলের গায়ে নিদ্রিত শিশির কণার চিকচিক যেন থেকে থেকে ডুকরে উঠছে এই বিষাদের ছোঁয়ায়। একটি শিউলিঝরা সুন্দর সকাল যেন নিমেষেই রূপান্তরিত হয়ে গেল স্যাঁতসেঁতে বিষণ্নতাময় দুপুরে। তুলে নিই আমার সব বিষাদ। তোমার চলে যাওয়ার পর থেকে প্রতিটি সকাল, প্রতিটি দুপুর লিখে রেখেছি এই বিষাদের মাল্যে। এ তো আমারই অসুখ!

কী সুন্দর স্নিগ্ধ সকাল! শিরশিরে বয়ে যাওয়া বাতাসে ভেসে আসছে শিউলির ম-ম ঘ্রাণ। উদাসীন আমি চেয়ে চেয়ে দেখি কী আশ্চর্যরকমভাবে কেটে যাচ্ছে জীবনের সুন্দরতম মুহূর্তগুলো—অথচ এলোমেলো আমি, নির্বিকার। এখন আমার সকাল নেই, সন্ধ্যা নেই, নেই সুন্দর ভোরের প্রত্যাশিত কোনো রাত। আমার জীবনজুড়ে এখন দুপুরের বসবাস। ধূসর দুপুর, ঘুঘুডাকা বিষণ্ন দুপুর। ময়ূরের পালকের মতো যার রোদ নীল হয়ে আছে—যে দুপুর জীবনের চেয়ে দীর্ঘ।

বন্ধু, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা