ক্রমেই এই অনুভূতি নাড়া দেয়। ঠিক সন্ধ্যে নামার সময় মাঝেমধ্যে নিস্তব্ধ হয়ে ওঠে চারপাশ। মনে হয়, মানুষজন সব কোথায়? আমার পাশে কেউ নেই, কোনো শোরগোল নেই! নিথর পরিবেশে খুব একাকিত্ব অনুভূত হয়।
ফেলে আসা ছোটবেলায় কত কলরব, আত্মীয়স্বজনের গুঞ্জন, ঝিঁঝির আলোয় ঝলমলে চোখে পেছন পেছন দৌড়ে গিয়ে ঝিঁঝি ধরে কাচের বোতলে বন্দী করতাম। ঝিঁঝির সবুজ আলো জ্বলত আর নিভত। সেসব রাতে চাঁদের সঙ্গে হাঁটতাম, উঠানে পাটি পেতে শুয়ে গল্প করতাম আর আকাশভরা তারা দেখতাম, সেগুলো গুনতাম। বাড়ির গলিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটতাম। জিন-ভূতের আজব কাণ্ডকারখানার সব গল্প বড়দের কাছে শুনতাম। আরও কত কী! তবে কি হারিয়ে গেল সব?
এখন সবাই যে যার মতো করেই ঘরকুনো থাকি। সম্পর্কের যে বন্ধন, তা বুঝি; কিন্তু মায়ার পাটিতে বসে আর গল্প বাঁধা হয় না। সময় আর বাস্তবতা আমাদের বন্দী করে রেখেছে। ওই ঝিঁঝি পোকার মতোই আমরা সবাই জ্বলি আর নিভে যাই। যতই দিন যাচ্ছে, আনন্দ, খুশি, আপন মানুষের সংখ্যা সংক্ষিপ্ত হয়ে আসছে।
কার্যনির্বাহী সদস্য, ভৈরব বন্ধুসভা