ঘরে আব্বা নেই। সুনসান নীরব ঘরটা এখন আর আগের মতো হাসে না। আম্মা উত্তরের জানালা খুলে অপলকে চেয়ে থাকেন আব্বার কবরের দিকে। স্মৃতিরা জেগে ওঠে। মায়ের দুই চোখ বেয়ে শোকের নদী বয়ে যায়!
তাঁদের সংসারজীবন মধুময় ছিল। আব্বার আয়রোজগারে আম্মা সব সময় খুশি থাকতেন। মায়ের কখনো বাড়তি ইচ্ছে ছিল না। ডাল-ভাতে সংসার চললেই খুশি। আব্বা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন আমাদের জন্য। ছয় ভাই-বোনকে মানুষ করতে গিয়ে তিনি কখনো সন্তানদের সঙ্গে রাগারাগি করেননি। সাধ্য অনুপাতে পড়ালেখা শিখিয়েছেন।
ক্ষণিকের জীবনে আব্বাকে নিয়ে অসংখ্য সুখ-দুঃখের স্মৃতি আছে। আম্মা সারাক্ষণই সেগুলো স্মরণ করেন। খাওয়াদাওয়া, নামাজ-কালাম, জিকির-আসকার আর দোয়ার মাধ্যমেই আম্মার বেলা কেটে যায়। নীরবতায় তখনই আম্মা চোখের পানি ফেলেন, যখন তাঁর জীবনসঙ্গীর দেখা না মেলে। তার মগজজুড়েই যেন আব্বার স্মৃতি ঘুরপাক খায়।
আম্মাকে বোঝালেও বোঝে না। সবারই তো চলে যেতে হবে। বলি দোয়া করো, আব্বা ভালো থাকবেন কবরে। কত কিছুই বলি। মায়ের মন বারণ মানে না।
মাহমুদপুর, মেলান্দহ, জামালপুর