একটা নির্জনতার গল্প
আমার বেঁচে থাকা আর না থাকা, দুই-ই সমান!
এই পৃথিবীর বুকে, একটুকরো জমিন দখল করে;
পড়ে আছি যেন বহুকাল।
আকাশের গায়ে লেপটে থাকা অভিমানগুলো,
আমার শূন্যতা বোঝে।
অঝোরে বৃষ্টি নামায় মলিনতায় মুখ ভার করে!
আমার বিষাদের গল্প শুনতে, গভীর রাতে
জেগে থাকে ঝিঁঝি পোকা।
কষ্টগুলো আপন করতে উঠেপড়ে সব নক্ষত্রেরা।
আমার দুঃখগুলোর যত্ন নিতে ছুটে আসে নির্জনতা;
ভালো রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা চলে সারাক্ষণ।
আমি যেন নিতান্ত এক পথভোলা পথিক;
একাকী পথ চলতে গিয়ে হোঁচট খাই বারবার।
শব্দগুলো চষে বেড়াই আউলা পথে একলা হেঁটে।
জীবনের স্টেশনে শব্দ কুড়িয়ে চলেছি পাগল বেশে।
আমাকে বুঝে ওঠে না, কখনো কখনো জোছনা রাত।
আকাশের বুকে হেলান দিয়ে আমিও রোজ, স্বপ্ন
দেখি পৃথিবী ছাড়ার!
অনেক তো হলো, এইবার একটা নিষ্পত্তি দরকার।
কষ্টগুলোর চিরতরে এবার দাফন হোক।
আমি এখন মরার মতোই আছি পড়ে,
স্বপ্নগুলো যেমন থাকে পরির সাজে, লাল–নীল
সব পোশাক গায়ে।
অভিনয়ে আর কত কাল বেঁচে রব;
আর কতটা কষ্ট বুকে পথ মাড়াব আপন ভুলে!
এখন একলা চলায় ভয় ধরেছে মনের ঘরে।
প্রতিটি ক্ষণে মিশে থাকে এখন আমার কবিতাজুড়ে;
শব্দগুলো হারিয়ে যায় সব আমায় রেখে!
একলা একা বাঁচতে পারে কে আর বল?
তবু কেমন যাচ্ছে সময় দিনের শেষে দিন ফুরিয়ে
আঘাতগুলোর গায়ে দেখি জ্বর উঠেছে ভীষণ করে!