তোমাকে দেখার অসুখ

অলংকরণ: আরাফাত করিম

তোমাকে নিয়ে বন্ধুসভায় লিখেছিলাম ২০২১ সালের ২০ মে। আজ ঠিক ২৪ মাস ২ দিন পর আবার লিখছি। লেখা প্রকাশ হওয়ার সময় হয়তো দুই বছর পূর্ণ হয়ে যাবে। এই দুই বছরে সবকিছুই বদলে গেল। আমি যে মোটেও বদলাইনি, তা কিন্তু নয়; কিন্তু তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা কেবলই বেড়েছে। শত অবহেলা, অপমানেও তোমাকে ভুলতে পারিনি।

তোমাকে পাওয়ার সাধ্য কোনো জনমেই আমার ছিল না। তবে তোমার কাছে আমার এক জনমের ঋণ থেকেই গেল। তুমিই আমাকে বুঝতে শিখিয়েছ—আমাকেও কেউ ভালোবাসতে পারে, আমিও কারও ভালোবাসার যোগ্য। কথায় আছে না—যে নারীর কাছে পুরুষ প্রথম ভালোবাসা শেখে, সে নারীকে পাওয়ার সৌভাগ্য ওই পুরুষের হয়ে ওঠে না।

ইদানীং তোমাকে দেখার তীব্র অসুখ আমাকে ছুঁয়ে বসেছে। শেষ অবধি ভালো নাইবা বাসলে, শেষ সময় একবার দেখা দেবে? তুমি সমস্ত অভিমান ভুলে কোনো এক বর্ষার শেষে, মেঘে ঢাকা সূর্যের মতন; মেঘ সরিয়ে একটু উঁকি দিয়ো, আমি শুভ্র আকাশের পালকি সাজিয়ে তোমাকে একটিবার দেখার জন্য ছুটে আসব।

মাঝেমধ্যে ভাবি, ভুলে যাব সবই, কিন্তু ধূসর স্মৃতি, তুমি নামক কবিতা, বিবর্ণ জলছবি—সবটা কী করে ভুলি? একটি গানের লাইন দিয়ে শেষ করতে চাই, ‘আমায় তুমি মনে রাখো না রাখো,/ তোমায় তো ভুলা যাবে না,/─হৃদয়ের এ বাঁধন কোনো দিনও খোলা যাবে না।’