কেন ব্যালন ডি’অর পাননি পেলে-ম্যারাডোনা

পেলে ও ম্যারাডোনাছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব ফুটবলে সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত হয় ব্যালন ডি’অর। প্রত্যেক ফুটবলারের স্বপ্ন থাকে এটি জয় করা। ১৯৫৬ সালে ফ্রান্স ফুটবলের শুরু করা এই পুরস্কার এখন পর্যন্ত অসংখ্য খেলোয়াড় জয় করেছেন। এর মধ্যে সর্বাধিক ৭টি জিতে শীর্ষে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫টি জয় করে পরের অবস্থানেই আছেন পর্তুগিজ যুবরাজ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দুজনই সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার।

কিন্তু আপনি জানেন কী? সর্বকালের দুই সেরা ফুটবলার পেলে ও ম্যারাডোনা তাঁদের ক্যারিয়ারে কখনো ব্যালন ডি’অর জিততে পারেননি। এমনকি ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারও হতে পারেননি! তবু তাঁদেরই সেরা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

১৯৫৮ বিশ্বকাপে জেতা (জুলেরিমে) ট্রফি হাতে পেলে
ছবি: রয়টার্স

কেন পেলে-ম্যারাডোনা ব্যালন ডি’অর পাননি

১৯৫৬ সালে ব্যালন ডি’অরের প্রথম আসরে পুরস্কারটি জয় করেন ইংল্যান্ডের স্ট্যানলি ম্যাথিউস। তখন নিয়ম ছিল, কেবল যাঁরা ইউরোপের ফুটবলার, তাঁরাই এটি জিততে পারবেন। অর্থাৎ, ইউরোপের বাইরে অন্য কোনো দেশের খেলোয়াড়েরা ব্যালন ডি’অরের জন্য বিবেচিত হবে না। মূলত এ কারণেই মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে বিশ্বের সেরা হলেও ব্যালন ডি’অর জিততে পারেননি পেলে-ম্যারাডোনা।

এই নিয়মের পরিবর্তন হয় ১৯৯৫ সাল থেকে। তবে ওই সময়ের মধ্যে এক আর্জেন্টাইন কিন্তু ঠিকই স্বীকৃতিটি অর্জন করতে সক্ষম হন। তাও কেবল একবার নয়, একাধিকবার। সেটা কীভাবে?

বিশ্বকাপ হাতে ম্যারাডোনা
ছবি: টুইটার

১৯৫৭ ও ১৯৫৯ সালে ব্যালন ডি’অর জয় করেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি আলফ্রেডো ডি স্টেফানো। এমনকি টানা তিন দশক ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের সুবাধে ১৯৮৯ সালে ইতিহাসের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে সুপার ব্যালন ডি’অর জয় করেন তিনি। এখন প্রশ্ন হলো, ইউরোপের বাইরের খেলোয়াড় হয়েও তিনি কীভাবে এ পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হলেন? ভাগ্যক্রমে আলফ্রেডো ডি স্টেফানোর স্প্যানিশ নাগরিকত্বও ছিল। এটাই তাঁকে স্বীকৃতি পেতে সাহায্য করেছিল। খেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে।

অন্যদিকে, ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার চালু হয় ১৯৯১ সাল থেকে। আর পেলে তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ার থেকে অবসর নেন ১৯৭৭ সালের ১ অক্টোবর। স্বাভাবিকভাবেই তিনি বর্ষসেরার জন্য বিবেচিত হতে পারেননি। ম্যারাডোনার ক্ষেত্রে, ওই সময় তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায় চলছিল। পাশাপাশি মাঠ ও মাঠের বাইরের নানা বিতর্কে সেরা সময়টাও হারিয়ে ফেলেন। অবসর নেন ১৯৯৭ সালে।