ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশন ছিল অভিজাতদের স্কুল। এখানে মোটা অঙ্কের টিউশন ফি দিয়ে পড়তে হতো। হেমন্তের বাবা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে হাফ ফি দিয়ে ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলেন। তারপরও যখন শুনলেন, গান গাওয়ার জন্য ছেলেকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, তখন তিনি ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলেন।
আর সব বাঙালি মধ্যবিত্তের মতোই বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে বড় হয়ে প্রকৌশলী হবেন। ছেলের স্বপ্ন, তিনি হবেন সাহিত্যিক। বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য ছেলে ভর্তি হন যাদবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। তারপরও সাহিত্যিক হওয়ার বাসনা তিনি ত্যাগ করলেন না, শুরু করলেন লেখালেখি। কিন্তু হঠাৎ মাঝপথে সবকিছু থেমে গেল। তিনি ঢুকে পড়লেন গানের ভুবনে। একপর্যায়ে গান হয়ে উঠল তাঁর ধ্যানজ্ঞান, স্বপ্ন-কল্পনা এবং শেষমেশ প্যাশন থেকে পেশা। পরিচিতজনের গণ্ডি পেরিয়ে তাঁর গান যখন বেতারে বেজে উঠল, বাঙালি শ্রোতা শুনলেন এক বিস্ময়কর কণ্ঠের অধিকারীর ভরাট গলা। এই শিল্পীর নাম হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। বাংলা বলয়ের বাইরের ভারতীয় শ্রোতারা তাঁকে জানলেন হেমন্তকুমার হিসেবে।
একপর্যায়ে হেমন্ত হয়ে ওঠেন ভারতীয় সংগীতজগতের দ্যুতিময় নাম। তিনি নিজেকে এমনভাবে জনপ্রিয় করে তোলেন যে তাঁকে ছাড়া বাংলা গানের কথা ভাবাই যায় না। রবীন্দ্রসংগীত থেকে আধুনিক গান, সিনেমার প্লেব্যাক থেকে গানের জলসা—সবখানে নিজেকে অনিবার্য করে তোলেন। খাদ থেকে চড়া, দরাজ গলায় সর্বত্র অনায়াস বিচরণ—সবই হেমন্তকে সংগীতভুবনের আইকনে পরিণত করে। শুরুর দিকে খানিকটা এলোমেলো হলেও কীভাবে যেন গানের সঙ্গে তাঁর জীবন একাকার হয়ে যায়। গানের ঝরনাতলার ডাক কবে পেয়েছিলেন, তা হয়তো নিজেই জানেন না। তবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা বলতে যা বোঝায়, তা শুরু করেন মিত্র ইনস্টিটিউশনে দশম শ্রেণিতে পড়ার সময়। গান গাওয়ার অপরাধে তাঁকে একবার ইনস্টিটিউশন থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য অনুনয়-বিনয় করে, ঘাট স্বীকার করে নিয়ে সেই আদেশ কর্তৃপক্ষকে দিয়ে প্রত্যাহার করিয়ে নেওয়া হয়। ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশন ছিল অভিজাতদের স্কুল। এখানে মোটা অঙ্কের টিউশন ফি দিয়ে পড়তে হতো। হেমন্তের বাবা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে হাফ ফি দিয়ে ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলেন। তারপরও যখন শুনলেন, গান গাওয়ার জন্য ছেলেকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, তখন তিনি ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলেন।
বাবা কালীপদ ছিলেন সামান্য বেতনের কেরানি। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বহুড়ায় তাঁর পৈতৃক ভিটা। হেমন্তের মাতামহ অর্থাৎ কালীপদবাবুর শ্বশুরবাড়ি ছিল উত্তর প্রদেশের বারানসিতে। হেমন্তের মা কিরণবালা দেবীর বাবা সেখানকার হাসপাতালের কৃতী চিকিৎসক ও সিভিল সার্জন। কালীদাস-কিরণবালা দম্পতির চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে হেমন্ত ছিলেন দ্বিতীয়। হেমন্তের বড় ভাই তারাজ্যোতি মুখোপাধ্যায় ছিলেন গল্পকার এবং ছোট ভাই অমলকুমার মুখোপাধ্যায় ছিলেন ষাটের দশকের খ্যাতিমান সুরকার। হেমন্তের জন্ম ১৯২০ সালের ১৬ জুন বারানসিতে, শৈশব কাটে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বহুড়াতে। পরে তাঁরা সপরিবার কলকাতায় চলে আসেন। কলকাতায় তাঁদের ঠিকানা হয় ২৬/২–এ রূপনারায়ণ নন্দন লেন, ভবানীপুর। হেমন্তের প্রাথমিক শিক্ষার সূচনা হয় বাড়িসংলগ্ন নাসিরুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুলে, পরে মিত্র ইনস্টিউিশনে। হেমন্ত বেড়ে ওঠেন এক বিশাল সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে। সমরেশ রায়, পরিমল সেন, রামকৃষ্ণ মৈত্র এবং কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় ছিলেন তাঁর সহপাঠী ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
রামকৃষ্ণ তখন গল্পকার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন, আর কবি ও গায়ক হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়। হেমন্ত কবিতার পথে না হেঁটে ভিড়ে গেলেন রামকৃষ্ণের দলে। অর্থাৎ, শুরু করেন গদ্যচর্চা। হেমন্তের লেখা একটি ছোটগল্প ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে শ্যামসুন্দর নামের আরেক বন্ধুর সঙ্গেও সম্পর্ক গাঢ় হয়ে উঠল। সম্পর্কের পেছনে মূল কারণ, শ্যামসুন্দরদের বাড়িতে ছিল ভালো হারমোনিয়াম-তবলা ও গ্রামোফোন রেকর্ড। শ্যামসুন্দরদের বাড়ি থেকে শুরু হলো গ্রামোফোন রেকর্ডে গান শোনা এবং সেই গান বাজিয়ে হারমোনিয়ামে তোলা। আড্ডা, গদ্যচর্চা, গানবাজনা—সবই চলতে থাকল। সবকিছু চলতে থাকল পড়াশোনার বিষয়টি ঠিক রেখে। বন্ধুদের মধ্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায় হঠাৎ হেমন্তকে রেডিওতে গান গাওয়ানোর জন্য তাগিদ দিতে লাগলেন। একপর্যায়ে ১ নম্বর গার্স্টিন প্লেসে ব্রডকাস্টিন করপোরেশন দপ্তরে অডিশনের কাজটি সারিয়ে নিলেন সুভাষ। হেমন্তকে অডিশনে বিশেষভাবে সাহায্য করেন একসময়ের বাংলা ছায়াছবির জনপ্রিয় নায়ক অসিতবরণ। তিনি তখন রেডিওতে তবলাবাদক হিসেবে কাজ করতেন। বলতে হয়, কোনো টেনশন না করে অনায়াসে সুযোগ পেয়ে গেলেন তিনি। তিন মাস পর রেকর্ডিংয়ের ডাক এল। সব ঠিক ছিল, কিন্তু বাবা যে এত সহজে রাজি হবেন, তা তিনি ভাবতেই পারেননি। বাবাকে রাজি করানোর কাজটি সেরেছিলেন মা কিরণবালা দেবী। কিন্তু রেকর্ডিংয়ে কী গাইবেন, কার লেখা গান গাইবেন? এ নিয়ে হেমন্ত যখন মহাদ্বন্দ্বে, তখন এগিয়ে এলেন আবার সেই সুহৃদ সুভাষ মুখোপাধ্যায়। হেমন্তের রেকর্ডিংয়ের জন্য রাতারাতি লিখে ফেললেন এক অনবদ্য গান। আর একটি শিখলেন ভাটিয়ালি গান। ১৯৩৫ সালে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে হেমন্তের প্রথম গান গাওয়া। গানের প্রথম কলি ‘আমার গানেতে এলে নবরূপী চিরন্তনী’, শুরু হলো গানের পথে যাত্রা। ১৬ বছরের এক তরতাজা তরুণের কণ্ঠে গান শুনে মুগ্ধ হলেন বাঙালি শ্রোতা।
দুই.
ম্যাট্রিকে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে হেমন্ত যাদবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন। ভর্তির পর পিতৃবন্ধু শান্তি বসুর মাধ্যমে সাক্ষাৎ হলো কলম্বিয়া রেকর্ড কোম্পানির ট্রেনার শৈলেশ দাশগুপ্তর সঙ্গে। হেমন্তের গান শুনে রেকর্ড করালেন শৈলেশ বাবু। নরেশ ভট্টাচার্যের কথা ও শৈলেশ দাশগুপ্তের সুরে হেমন্ত গাইলেন ‘যদি গো তুমি জানতে’ ও ‘বলো গো বলো মোরে’। ১৯৩৭ সালের ডিসেম্বরের পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি হেমন্তকে। দুই মাস অন্তর চারটি করে রেকর্ড আর পাঁচটি করে প্রোগ্রাম পেতে থাকলেন রেডিওতে। গান গেয়ে যে টাকা পেতেন, তার একটা অংশ বাড়িতে পাঠাতে লাগলেন। মা তো সব সময়ই তাঁকে সাহস জুগিয়েছেন গান গাওয়ার ব্যাপারে, পরে বাবাও ছেলের খ্যাতিতে উচ্ছ্বসিত হলেন। এরই মধ্যে ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিকের তালিম নিয়ে নিলেন ওস্তাদ ফৈয়াজ খানের শিষ্য ফণীভূষণ গাঙ্গুলীর কাছে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তৃতীয় বর্ষে উঠেই প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার পর্ব একেবারে চুকিয়ে দিলেন তিনি। এতে মা–বাবা ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলেন।
তারপর গানই হয়ে উঠল তাঁর ধ্যানজ্ঞান, স্বপ্ন-সাধনা এবং সব সময়ের আধার। রবীন্দ্রনাথের গানের প্রতি ছিল তাঁর প্রবল আগ্রহ। তবে রবীন্দ্রনাথের গান তিনি কোনো প্রতিষ্ঠান বা ওস্তাদের কাছে শেখেননি। শৈলেশবাবুর কাছেই স্বরলিপি ধরে ধরে রবীন্দ্রনাথের গান শেখা। পঙ্কজ মল্লিকের স্টাইল অনুসরণ করে রবীন্দ্রসংগীত গাইতেন বলে সেই চল্লিশের দশকেই তিনি পেয়ে যান ‘ছোট পঙ্কজ’-এর অভিধা। দেবব্রত বিশ্বাস এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, পঙ্কজ মল্লিকের পর হেমন্তই একমাত্র শিল্পী, যিনি রবীন্দ্রসংগীত জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করেন। দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ও বলেছেন, ‘হেমন্তদা আসলে পঙ্কজবাবুর স্টাইল ফলো করতেন। সেটা নিজের মতো করে আত্মীকরণ করে পরিবেশন করতেন। আমি যেমন হেমন্তদার স্টাইল অনুসরণ করে গাইতাম, তেমনই।’ ‘প্রিয় বান্ধবী’তে ‘পথের শেষ কোথায়, শেষ কোথায়’ দিয়ে শুরু, তারপর আমৃত্যু রবীন্দ্রনাথের গানকে নিত্যসখা করেই পথ চলেছেন। শুরু থেকেই হেমন্ত প্রাণ উজাড় করে, নিষ্ঠার সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে গেছেন। হেমন্ত আসলে সৌভাগ্যবান শিল্পী, যিনি খুব সহজেই শ্রোতাদের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরে তিনি সংগীতশিল্পী বেলা মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন। হেমন্ত-বেলা দম্পতির দুই ছেলে–মেয়ে—জয়ন্ত মুখোপাধ্যায় ও রানু মুখোপাধ্যায়।
হেমন্ত আমৃত্যু সাদামাটা, সহজ-সরল, আটপৌরে জীবন যাপন করে গেছেন। এসব তাঁর পোশাক, অবয়বে ফুটে উঠেছে। খ্যাতি, বিত্ত-বৈভব কোনো কিছুই তাঁকে জীবনের সারল্য-ধর্ম থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।
তিন.
গত শতকের চল্লিশের দশকে তিনি বাংলা ছবি ‘নিমাই সন্ন্যাসী’তে প্রথম প্লেব্যাক করেন। তারপর কিছু ছবিতে তিনি সংগীত পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। চল্লিশের দশকে গণনাট্য আন্দোলনে যোগ দেন। এখানেই সখ্য গড়ে ওঠে সলিল চৌধুরী, দেবব্রত বিশ্বাস, বিনয় রায়, জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র, সুচিত্রা মিত্র প্রমুখের সঙ্গে। সলিল চৌধুরীর কথা ও সুরে তিনি কয়েক বছর বেশ কটি গানের রেকর্ড করেন। ‘কোনো এক গাঁয়ের বধূ’ থেকে ‘রানার’–এ বাঙালি শ্রোতা পেলেন আর এক ভিন্ন হেমন্তকে। সমসাময়িক আধুনিক গানের রেকর্ডগুলোও আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পেল। তাঁর গান পৌঁছে গেল গলি থেকে মধ্যবিত্তের অন্দরমহলে। বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ’ ছবিতে সুর করবেন বলে তিনি ১৯৫১ সালে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে চলে গেলেন। হিন্দি–বিশ্ব পেল এক নতুন সংগীতসাধক ও গায়ক হেমন্তকুমারকে, যিনি এলেন এবং জয় করলেন। সারা ভারত মুগ্ধ হলো তাঁর দরাজ কণ্ঠে। পঞ্চাশের দশকেই সংগীত পরিচালক, সুরকার ও শিল্পী হিসেবে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। তিনি প্রযোজক হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন। মৃণাল সেন পরিচালিত ‘নীল আকাশের নীচে’ ছবির প্রযোজক ছিলেন স্বয়ং হেমন্ত। পরে কয়েকটি হিন্দি ছবিরও প্রযোজক ছিলেন। তবে সব পরিচয় ছাপিয়ে গায়ক হেমন্ত ছিলেন অনন্য ও অদ্বিতীয়। ছায়াছবির গান হোক, আধুনিক কিংবা রবীন্দ্রনাথের গান—গান দিয়ে বাঙালি শ্রোতাকে সম্মোহিত করার অলৌকিক ক্ষমতা তাঁর ছিল।
হেমন্ত আমৃত্যু সাদামাটা, সহজ-সরল, আটপৌরে জীবন যাপন করে গেছেন। এসব তাঁর পোশাক, অবয়বে ফুটে উঠেছে। খ্যাতি, বিত্ত-বৈভব কোনো কিছুই তাঁকে জীবনের সারল্য-ধর্ম থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের প্রয়াণের পর তাঁর পরিবারের সাহায্যার্থে কলকাতায় যে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, তাতে তিনি কেবল গান পরিবেশন করেই দায়িত্ব শেষ করতে চাননি, পাশাপাশি শ্রোতাদের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন, প্রয়াত গীতিকারের পরিবারের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য। তিনি কেবল বড় মাপের শিল্পী ছিলেন না, মানুষ হিসেবেও ছিলেন উঁচু মাপের। বাংলার আকাশ তাঁর দেহমনকে ভরিয়ে দিয়েছিল আলো, তিনিও বাংলার আকাশকে গানে গানে ভরিয়ে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের মাটি–মানুষের প্রতি ছিল তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসা ও গভীর প্রেম। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অকুণ্ঠ সমর্থক হেমন্ত মুখোপাধ্যায় একাত্তরের অগ্নিঝরা দিনগুলোতে মানষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং মুক্তিকামী বাঙালিকে উজ্জীবিত করার জন্য গান গেয়েছেন। সেপ্টেম্বর ১৯৮৯-এ মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার গ্রহণের জন্য ঢাকায় এসে কয়েকটি গানের মজলিসেও হাজির হন। ঢাকা থেকে কলকাতায় ফিরেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন এই মহান শিল্পী। ১৯৮৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কলকাতার একটি নার্সিং হোমে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর সাড়ে তিন দশক পার হয়েছে, বাংলা গানের আকাশে কত নক্ষত্র জ্বলেছে এবং নিভেছে, কিন্তু হেমন্ত মুখোপাধ্যায় আজও আমাদের গানের আকাশে শুকতারা হয়ে আছেন।
সভাপতি, মেহেরপুর বন্ধুসভা ও সহযোগী অধ্যাপক, মেহেরপুর সরকারি কলেজ