শীতের দিনে গ্রামের বাড়ি যেতে ইচ্ছে করে,
ছোটবেলার মধুর স্মৃতি আজও মনে পড়ে।
ভীষণ ভালো লাগত যেতে চড়ে গরুর গাড়ি,
শর্ষে ফুলের হলুদ ছুঁয়ে যেতাম দাদাবাড়ি।
ভোরে উঠে সবাই যেতাম ঘুরতে অন্য গাঁয়ে,
শিশিরভেজা মেঠো পথে হেঁটেই খালি পায়ে।
বাড়ির পাশে গেজুরগাছে ছিল রসের হাঁড়ি,
আদর করে খেতে দিত অনেক কুটুমবাড়ি।
গায়ে দিতাম মোটা জামা তবু লাগত শীত,
নাড়া জ্বেলে গরম হতাম গেয়ে নানান গীত।
কুয়াশাতে পড়ত ঢাকা দূরের গাঁয়ের ছবি,
ডিমের মতো উঠত হেসে কুসুম রাঙা রবি।
সন্ধ্যা হলেই দাদি-চাচি করত নানান পিঠা,
পায়েস দিত খেজুর রসের অন্যরকম মিঠা।
আজও আমায় ডাকে গ্রামে ইষ্টিকুটুম পাখি,
এমন ডাকে মন ছুটে যায় অধীর দুটি আঁখি।