অপেক্ষার মহাকাব্য
জন্মান্তরেও অপেক্ষা করব তোমার জন্য
তোমায় গান শোনাব বলে গলা সাধি প্রতি সন্ধ্যায়,
কাকভোরে ভৈরবী রাগে তোমার প্রতিচ্ছবি আঁকি।
পাখির কিচিরমিচিরে ধ্যান ভাঙে
এই বুঝি তোমার উল্লাসের মধুর পদধ্বনি,
চমকে উঠি অজানা কথার তুখোড় ঝড়ে।
অমোচনীয় অক্ষরে অপেক্ষাগুলো তুলে রাখি হৃদয়ের পাতায়,
একদিন সেটা হয়তো হয়ে যাবে এক অপেক্ষার কাব্য।
কষ্টগুলো আড়াল করি ভালোবাসার মন্ত্রে
পূজার ফুল সযত্নে বিছিয়ে দিই দেবতার চরণে,
মেনে নিই জীবনের প্রতিটা সুন্দর অসুন্দরের চর্যাপদ।
পাহাড় ডিঙানোর ভয় করি না
তোমার উপস্থিতির কাছে সবকিছু বেমালুম তুচ্ছ,
শক্ত পায়ে হেঁটে চলি বন্ধুর পথের গন্তব্য পেরিয়ে।
অপেক্ষার বিশ্বাস মরিচাবিহীন
শেষ বিকেলের রক্তিম আলোয় তোমার বন্দনা,
সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বালিয়ে নিশ্চিহ্ন করে করে দিই রাতের অন্ধকার।
আমার কোনো রাত নেই
আলোর আঙিনায় ভালোবাসার বসবাস,
সবকিছু পেরিয়ে তোমার কাছেই শেষ গন্তব্য।