মঞ্চনাটক চেতনার জায়গা প্রসারিত করে

‘ময়ূর সিংহাসন’ নাটকের একটি দৃশ্য
ছবি: সংগৃহীত

নাট্যচর্চা অনেক দিন ধরেই ইতিহাসের বিশেষ একটি অংশ। অনেক আগে থেকেই সমাজের সৃষ্টিশীল মানুষেরা নাটক ও সাহিত্যচর্চা করতেন। তখন মনের খোরাক মেটানোর একমাত্র মাধ্যম ছিল নাটক। খ্রিষ্টীয় ৪র্থ শতাব্দীতে সংস্কৃত নাটক থেকে বাংলাদেশি মঞ্চনাটক উৎপত্তি লাভ করে। গুপ্ত বংশ কর্তৃক বঙ্গ বিজয়ের মধ্য দিয়ে প্রাচীন বাংলা সংস্কৃতিতে উত্তর ভারতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটে এবং নাট্যচর্চার প্রসার ঘটে। পরবর্তীকালে আদি বাংলা পল্লিসংস্কৃতির সঙ্গে মিশে বাংলা মঞ্চনাটকে নিজস্ব ধারার সৃষ্টি হয়।

ভৈরবে নিবেদিতা নাট্যাঙ্গনের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় পাঁচ দিনব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী নাট্যোৎসব। ৩ জুন ছিল ঢাকার আরণ্যক নাট্যদলের পরিবেশনা ‘ময়ূর সিংহাসন’ নাটক। ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুরা নাটকটি উপভোগ করেন।

১৯৯৯ সালে প্রথম মঞ্চে আসে নাটক ‘ময়ূর সিংহাসন’। ২০০৯ সালে হয় এর শততম মঞ্চায়ন। মান্নান হীরার রচনায় নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন শাহ আলম দুলাল। বিকেল থেকেই দর্শকের আনাগোনায় মুখর হয়ে ওঠে জিল্লুর রহমান পৌর মিলনায়তন। প্রতিটি সংলাপ, অভিনয়শৈলী ছিল চোখে পড়ার মতো। অভিনেতারা সুনিপুণ দক্ষতায় দৃশ্যগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন।

নাটক দেখতে যাওয়া ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

বাংলাদেশের ষাটের দশকের গণতন্ত্রের দাবি, ধর্মনিরপেক্ষতা, সাম্প্রদায়িকতা ও রাজনৈতিক সামরিক শাসন, সত্যিকারের দেশপ্রেমিকেরা নিভৃতচিত্তে ক্ষমতাবান মানুষের নিকট যেভাবে নিগৃহীত হয়েছেন, সে ধারাবাহিকতার আলোকে তৈরি হয়েছে নাটকটির গল্প।

নাটক দেখার অনুভূতি জানিয়ে ভৈরব বন্ধুসভার উপদেষ্টা ওয়াহিদা আমিন বলেন, ‘ব্যতিক্রমী একটা পরিবেশনা দেখলাম। মঞ্চনাটক হলো সাহিত্যের অনন্য একটি ধারা। এটি চেতনার জায়গাকে প্রসারিত করে।’

সভাপতি, ভৈরব বন্ধুসভা