ছায়াহীন পথ
ছায়াহীন পথ চলতে চলতে হঠাৎ বটবৃক্ষের দেখা মিলল
কিছুটা সময় ওইখানে বসে একটু বিশ্রাম নিই
ক্লান্ত দেহটাকে সচল করি—
কিছুতেই আমার গায়ে শান্তির বাতাস স্পর্শ করল না
বৈরী হাওয়া প্রচণ্ড বেগে এসে ধাক্কা দিতে শুরু করল,
আমি পবনের ধাক্কায় এদিক থেকে ওদিক যাচ্ছিলাম
ভেবে পাচ্ছিলাম না, ওই দুর্যোগ মুহূর্তে কী করব?
এদিকে দুটি আঁখি ভরে গেছে নোনাজলে,
সুযোগ বুঝে কাবু করে ফেলেছে আমাকে—
এক অশান্ত প্রভঞ্জন আর নিগূঢ় অন্ধকার।
এখন সুখের চাদর মলিন হয়ে গেছে চাকচিক্যের কারণে
আগের মতো সুখ ঢেউ খেলে না, আজকের কাঠপোড়া বুকে
পলাতক আসামির মতো ঘুরে বেড়ায় চঞ্চল মন
মজবুত বাঁধন ছিন্ন করে চলে গেছে সবাই যার যার মতো
ঘড়ির কাঁটা আজ জং ধরেছে আঠালো স্বার্থের কারণে—
আমি পড়ে রয়েছি এখন নির্জন জঙ্গলের বাসিন্দা হয়ে
নতুন কোনো সূর্যোদয়ের আশায়,
মখমলের কাপড়ের বাঁধাই করা চেয়ারটি হয়তো,
ময়লা আর আবর্জনায় ঢাকা পড়ে রয়েছে—
তবু আমি ছায়াহীন পথ ধরে চলছি অনন্তকাল।