কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি হয়ে গেল। শীতল বাতাস আদরমাখা পরশ বুলিয়ে যাচ্ছে। শেষ বিকেলের সূর্যটা রক্তিম আভায় আকাশকে সাজিয়ে দিচ্ছে। কিচিরমিচির পাখির ডাক, রাস্তায় গাড়ির ব্যস্ততা, দিন শেষে প্রত্যেকের বাড়ি ফেরার পালা। বৃষ্টির পর থমকে থাকা শহরটা যেন জেগে উঠেছে। এই শহর কখনো ঘুমায় না। মানুষ ও প্রকৃতি—এই দুইয়ে মিলে শহরকে জাগিয়ে রাখে প্রতিনিয়ত।
বৃষ্টির ছোঁয়ায় প্রাণ ফিরে আসে পত্রপল্লবে, পাখির কণ্ঠে, হাওয়ার দোলাতে, সূর্যের নরম আলোতে। গোধূলিলগ্নে মেঘহীন মুক্ত আকাশে চাঁদের একা রাজত্ব চলে।
এমনই এক বৃষ্টিভেজা দিনে আমার জীবনে আসে প্রিয় মানুষটি। তার হাসি আমার অনুভূতির প্রতিটি স্তরে শীতলমাখা পরশ বুলিয়ে যায়।
কোনো এক বৃষ্টিভেজা দিনে তোমার হাত ধরে হাঁটব কিছুক্ষণ। যখন ক্লান্ত হবে, তখন কাঁধ পেতে দেব বিশ্রামের জন্য। একসঙ্গে জোছনা দেখব। আর তোমায় শোনাব—
‘বৃষ্টি এত মধুর ধ্বনি,
রিমঝিম সুরের মাতাল হাওয়া।
অবিরাম রাগমাখা সূর্যের অগ্নিমাখা চাহনিকে করেছে স্মিতে সৃষ্টি।
বৃষ্টি মধুর বৃষ্টি।’
তার সঙ্গে বৃষ্টিতে ভেজার ইচ্ছাটা এখনো অপূর্ণই রয়ে গেল।’
বন্ধু, ভৈরব বন্ধুসভা