ছোটবেলার আমেজ

লেখকছবি: সংগৃহীত

সালটা তখন ২০০৮। পড়ি দ্বিতীয় শ্রেণিতে। ওই সময়টায় পূজার আমেজ যেন ডিসেম্বরের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার চেয়েও কম নয়। দুর্গাপূজার একটা বিশেষ দিক হলো উপবাস থেকে মায়ের পায়ে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করা। বায়না ধরলাম আমিও দেব অঞ্জলি! মা বলল, তুই কি পারবি? খুব পারব! সবাই পারে আর আমি পারব না কেন?

অঞ্জলি শুরু হতে একটু দেরি হচ্ছিল। ফুল, বেলপাতা যখন সবাইকে দেওয়া হলো, বাবা আমার ছোট হাতেও দিলেন গুটিকয়। পুরোহিত মন্ত্র পড়া শুরু করলেন, সঙ্গে সবাই বলছে। আমিও বলছি। হঠাৎ দেখলাম মা দুর্গার প্রতিমা আমার চোখের সামনে ঘুরছে! হায় হায় এসব কী হচ্ছে! আমি তো অবাক! তারপর চোখ খুলে দেখি আমি বাসায় শুয়ে আছি! আর বাসায় সবাই আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে। কিঞ্চিৎ লজ্জা পেলাম।

এখনো অঞ্জলি দেওয়ার সময় মনে পড়ে সেই মজার স্মৃতিটা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পূজা নিয়ে পাগলামিটা খানিক কমলেও মায়ের আগমনীর অনুভূতি আগের মতোই আছে। পূজার এক মাস আগে থেকেই রাতে ঘুমানোর সময় পূজার গান লাগিয়ে এখনো অপেক্ষা করি।

মায়ের আগমনে মঙ্গল হোক জগদ্বাসীর, থেমে যাক সব যুদ্ধ, হানাহানি। মঙ্গল হোক বাংলাদেশের—এই প্রার্থনা করি।

বন্ধু, ভৈরব বন্ধুসভা