ভালোবাসার চিঠি
তোমার বর্ণাঢ্য জীবনে তুমি ভালোই আছ জানি। নতুন করে ভালো থাকার প্রত্যাশা করছি না। ভেবেছিলাম অনেক ব্যস্ত হয়ে যাওয়ার পর ভুলে যাব। কিন্তু আমি ভুলে গিয়েছি যে ভালোবাসার অনুভূতি ব্যস্ততার মধ্যেও হারিয়ে যায় না, উল্টো তীব্র হয়ে যন্ত্রণা দেয়।
সব ব্যস্ততার মধ্যেও তোমাকে এতটুকু ভুলে থাকার ক্ষমতা আমার হয়নি, হচ্ছে না। হলো না নতুন করে কাউকে হৃদয় দেওয়ার মতো সাহস। যাকে একবার ভালোবেসে সবটুকু দেওয়া যায়, সেই হৃদয় কী করে আর অন্য কাউকে দেওয়া যায় আমি জানি না।
তোমার উষ্ণ করা ঠোঁট, অসম্ভব মায়াবি চোখ জোড়া, মুগ্ধতার হাসি আমাকে স্মৃতির চিতায় তুলে অগ্নিদগ্ধ করে যাচ্ছে আজও। আমি আগলে রাখতেও পারছি না, ফেলেও দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। আমি আকাশের দিকে অনড়ভাবে চেয়ে ভাবতে থাকি, আছি এক আকাশের নিচে তুমি আমি। এতটুকু সান্ত্বনা আমার হাহাকার শূন্য হৃদয়ে আরও হাহাকারের সুনামি তোলে। আমাকে আমার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে তোমার সঙ্গে কাটানো স্মৃতির মায়া।
তোমাকে ভালোবাসার পরও আগলে রাখতে পারিনি। শুধু প্রত্যাশা করি, তুমি যাকে ভালোবাসো সে যেন তোমায় সবটা দিয়ে আগলে রাখে। তোমার আত্মার সঙ্গে যেন মিলনে মিলিয়ে যায়। আমার চেয়েও যেন তীব্র থেকে তীব্রতর ভালোবাসে। তবে আমি শিখেছি, চাইলেই সবাইকে আগলে রাখা যায় না। চাইলেই সবাইকে ভালোবাসা যায় না, চাইলেই কাউকে স্পর্শ করা যায় না। অনুমতি আর চাওয়ার পাল্লা দুই দিকে সমান থাকতে হয়, যা আমাদের মধ্যে নেই।
আমার জীবনে আর দ্বিতীয় কাউকে গ্রহণ করা সম্ভব নয়। আমি যাকে প্রথম করে গ্রহণ করেছি, সে আমার কাছে সূর্যের মতোই একক। সূর্য একটাই, তুমিও আমার কাছে একজনই। আর কেউ এই বুকে মাথা রাখার ক্ষমতা রাখে না, আমার চুলে হাত বোলানোর অধিকার রাখে না, আমার রোমান্টিকতার সঙ্গী হতে পারে না।
ইতি তোমার জন্য ভালোবাসার অস্ফুট প্রেমিক।
সাংস্কৃতিক সম্পাদক, গাজীপুর বন্ধুসভা