লেবু খাওয়ার উপকারিতা

লেবু

গরমের দিন কিংবা পবিত্র রমজানে শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করতে শরবত খুবই উপকারী। এর মধ্যে লেবুর শরবত হলো সবচেয়ে সহজলভ্য, যা খুব কম সময়ে এবং অল্প খরচে তৈরি ও পান করা যায়।

লেবু ভিটামিন সি–এর সমৃদ্ধ উৎস, যা ১০০ গ্রাম পরিমাণ দৈনিক প্রয়োজনীয়তার ৬৪ শতাংশ সরবরাহ করে। লেবুর রস ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। সাধারণ সর্দি, ভিটামিন সি–এর ঘাটতি (স্কার্ভি), স্কিনকেয়ার, মর্নিং সিকনেস ও অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এটি।

পুষ্টিগুণ: লেবুতে ভিটামিন সি, সাইট্রিক অ্যাসিড, পলিফেনলস, টের্পেনস, ফাইটোকেমিক্যালস, অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসহ বিভিন্ন উপাদান রয়েছে।

উপকারিতা:

লেবুর ভিটামিন সি ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট শরীরে কোষের ক্ষতি রোধ করে প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং এর সাইট্রিক অ্যাসিড স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁরা সাধারণ সর্দি-কাশিতে ভোগেন, তাঁরা নিয়মিত লেবু খেলে হাঁপানি সংক্রমণ কমে যাবে। ব্রংকিয়াল হাইপার-সেনসিটিভিটিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপকার হয়।
হজম শক্তি বাড়ায় ও খাবারের অনিহা দূর করে রুচি বৃদ্ধি করে।

লেবুর খোসার উপকারিতা: লেবুর খোসাতে লেবুর রসের চেয়ে প্রায় ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি ভিটামিন রয়েছে। এর মধ্যে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও কিছু স্বাস্থ্যকর এনজাইম থাকে, যা শরীরে পুষ্টি জোগায়।

ক্যানসার প্রতিরোধ: লেবুর খোসায় রয়েছে কিউ-৪০ ও লিমনিন, যা ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে। খোসা কিছুটা ক্ষারীয় হওয়ায় রক্তের পিএইচ বজায় রাখে। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকের সংক্রমণ রক্ষা করে। লেবুর খোসা ত্বকে প্রয়োগ করলে সানস্পট হালকা করে ও স্কিন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ: লেবুর খোসায় পলিফেনল ফ্লাভোনয়েডের উপস্থিতি কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখে। ফলে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের মতো হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

খাদ্য প্রযুক্তি ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগ, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়