জীবনে সবচেয়ে চমৎকার সম্পর্কের নাম বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব প্রতিটি মানুষের জীবনে এক অনিবার্য পরিণতির নাম। প্রতিটি মানুষের জীবনেই কোনো না কোনো সময় বন্ধু আসে। আবার তাঁরা ছেড়েও যায়। তবু মানুষ বন্ধুত্ব করে। যেখানে থাকে না কোনো লাভ-ক্ষতির হিসাব।
বন্ধুত্বের সম্পর্ক দিয়েই শুরু হয়েছিল তোমার আমার এক সরলরেখায় যাত্রা। তুমিই প্রথম বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছিলে। আমি শুধু ধরেছিলাম। ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আমার তো ছিল না। কোনো যুবকের থাকে না। এক পথের সন্ধানে ছুটেছিলাম দুজনই। সমান্তরাল সে রেললাইনের একপাশে তুমি আর অন্যপাশে আমি। বসন্ত বাতাসে উড়েছিলাম। পয়লা বৈশাখে ক্যাম্পাসে কনসার্টে ছিলাম হাতে হাত ধরে, পদ্মার তীরে ফুচকাও খেতাম একসঙ্গে। যদিও আজ দুজনের পথ ভিন্ন।
সেই সম্পর্কটা হয়তো পরে শুধু বন্ধুত্ব ছিল না। তবে বন্ধুত্বটুকু ছিল খাঁটি। তুমি শিখিয়েছিলে কীভাবে বন্ধুত্বকে সম্মান করতে হয়, বিশ্বাসে ঢেকে রাখতে হয়, যত্ন করতে হয়। আমি তা রেখেছিলাম অনেকটা বছর। এক বছর, দুই বছর থেকে দশটি বছর। তারপর আর পারিনি। সবাই সবকিছু পারে না। প্রতিটি সম্পর্কই শুরু হয় বন্ধুত্ব দিয়ে। এমনকি সম্পর্কটা মরে গেলেও বন্ধুত্ব থেকে যায়। আমাদের বন্ধুত্বটাও আছে। অন্তত আমার সেটাই ধারণা। বন্ধুত্বের সংজ্ঞা জানি না, বুঝতেও চাইনি। তবে জানতাম সম্মান করতে হবে, শ্রদ্ধা করতে হবে। করেছিলাম। তুমিই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ বন্ধু ছিলে, এখনো আছ তা–ই।
আসলে প্রতিটি সম্পর্কেই বন্ধুত্ব থাকতে হয়। তবেই না ভালোবাসা আসে। শ্রদ্ধাবোধ আর বন্ধুত্বকে উপভোগ না করলে বন্ধুত্ব টিকতে পারে না।
সদর, পাবনা