সর্বহারা

অলংকরণ: মাসুক হেলাল

মহরত হোক,
কলাকুশলীর সাথে হোক উদ্দাম নৃত্য;
হোক শত কলরব।
আঁধারের ডানা বেয়ে
চুইয়ে চুইয়ে ভোর আসুক;
ঝলমলে রাত্রি শেষে
দিবানিদ্রারাও জেঁকে বসুক।
সুবহে সাদিকের ক্ষণে
ভেজা চুলে স্নানরত অঙ্গ বেয়ে
ঠমকে ঠমকে বিভঙ্গের মাদকতায়
নেশা হোক। ঘোরলাগা মুহূর্তে,
তোমার গণ্ডদেশ বেয়ে স্নানের জল
আর অশ্রুধারার মিলন হোক।
অপার হয়ে বসে থাকা লগন
আর স্থাণুর মতো নির্জীব দেহে—
নিস্পৃহ স্পৃহায় জাগুক সত্তা;
গগনবিদারী অব্যক্ত চিৎকার
শিৎকার ধ্বনি হয়ে, কামসিক্ত হৃদয়ে
ভালোবাসার বল্গা ছাড়া বিনিসুতোর মালা গাঁথুক।
তবু তোমার কাজলটানা গভীর চোখে
বেদনার ছায়া অপস্রিয়মাণ হয়ে
স্বপ্নরাঙা গোধূলি—আলো ছড়াক।
আলোকোজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো
বিশ্বজোড়া তোমার খ্যাতি হোক।
শুধু তুমি জেনে রেখো—
তুমি অস্কারজয়ী কোনো নটিনী নও,
কূলে আছড়ে পরা কোনো তটিনীও নও;
তুমি খুব সাধারণ এক অসাধারণ—
শত কূলভাঙা এক অশান্ত প্রস্রবণ।
অর্ধেক তুমি অপ্সরী স্বর্গহারা,
আর অর্ধেক তুমি মানবী সর্বহারা।
তুমি ঠিক তুমিতেই আটকে থাকা
দিগ্‌ভ্রান্ত এক দিশাহারা।