মনে পড়ে—সেই সোনালি শৈশবে
বাবার সঙ্গে মাঠে–ঘাটে বেড়াতাম চষে
বাবার বকুনি মায়ের শাসন তবু যেতাম
হাটবাজার, খেলার মাঠ, খেতে-খামারে।
কখনো কখনো বাবার হাত ধরে
গোধূলির আকাশে তাকিয়ে থাকতাম
চাঁদের শোভা তারার ছুটে চলা,
নিঝুম রাতে নিশাচরের ডাক
শিয়ালের ‘হুক্কা’ শুনতাম বাবার কোলে বসে।
দুরন্ত শৈশব-কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পদার্পণ
চুপি চুপি কখন যে বেলা গড়িয়ে গেল
শৈশবের ফেলে আসা দিনগুলো, লাটিম ঘোরানো,
ডাংগুলি খেলা, পাখির ছানা খোঁজা, খালে-বিলে সাঁতার কাটা।
আজ পরিপূর্ণ সবে, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছি—
শহুরে জীবনে নানাবিধ সমস্যা, পিছুটান
কোলাহল সব সময়, একটু সজীব নিশ্বাস খুব বেশি প্রয়োজন
মনে পড়ে ফেলে আসা অতীত দুরন্ত সেই শৈশব।
মায়ের বকুনি বাবার শাসন, বন্ধুদের আড্ডা
সবে আজ মনে পড়ে স্মৃতিতে, দোলা দেয়
ফিরে আর পাব না সেই দুরন্ত শৈশব
ফিরে যেতে ইচ্ছা করে, চোখের নোনাজলে
হাতরাই সেই দুরন্ত শৈশব।