তোমার চলে যাওয়ার দিনে আমার একটুও দুঃখ লাগেনি। যখন কাছে ছিলে—না নিতে পারতাম শ্বাস, না ফেলতে পারতাম সারা দিন ব্যস্ততার শেষে একটা দীর্ঘশ্বাস, না গ্রহণ করতে পারতাম প্রিয় ফুলের সুবাস; যেন আমার ঠিকানা কোনো এক বদ্ধ ঘরে।
যখন আমার কাছে ছিলে, তোমাকে বলা যায়নি কোনো কথা মন খুলে। তোমার কোলে মাথা রেখে হয়নি প্রশান্তির ঘুম। সৌভাগ্য হয়নি পূর্ণিমার রাতে চাঁদের আলোয় খোলা আকাশের নিচে বসে গান ধরার। ভাবতাম—যদি একটু ফুরসত পেতাম মুক্ত হবার! তারপর তুমি যখন চলে গেলে, আমি মুক্ত হয়েছি পাখির মতো, যে এত দিন প্রেম–ভালোবাসাহীন একটা ঘরে বন্দী ছিল।
তুমি চলে যাওয়ার পর থেকে আমার মনে আবৃত্তি হয় পৃথিবীর সমস্ত অলিখিত কবিতা, গেয়ে ওঠে গান, সুর; যা অনায়াসে চোখ বন্ধ করে আমি লিখে যেতে পারি। আসলেই মানুষ বদ্ধ ঘর কিংবা স্বাধীনতাবিহীন স্থান থেকে মুক্ত হতে পারলেই কবি হয়ে ওঠে। ঠিক তেমনই আমিও হয়ে উঠি কবি, মানুষের কবি।