অসময়ের বৃষ্টি
আকাশটা হঠাৎ কোন দুঃখের আবেশনে
বক্ষ ছিঁড়ে অঝোরে কাঁদছে,
বেদনাহত টুপটাপ ফোঁটার পতনে
দুঃখের গীত গাইছে।
পড়ন্ত বিকেলে রাখালের বাঁশিতে সুর বাঁধেনি,
ভয়ার্ত আহ্বানে তাকিয়ে রয়েছে অদৃশ্যে,
দিকবিদিক শূন্যে গরুর পালায়নে—
অসহায় চাহনি বহুদূর বনে।
কালো মেঘের দলের কষ্টেসৃষ্টে
টুপটাপ ফোঁটা বৃষ্টি ঝরছে,
অসময়ে বৃষ্টির আগমন ঘটেছে—
এখনো স্বপ্নবাজ বালকের বাড়ি ফেরার নাম নেই।
পৃথিবীর অসচ্ছল মানুষের মতো একা বৃষ্টি,
বক্ষে শত কষ্টের রেখাপাত,
বিকেল হতেই যেন কেঁদে কেঁদে সারা—
আকাশটার এত দুঃখ কী করে হলো?
আশীর্বাদে নত শির, উন্মাদ চিত্ত
অসময়ে বৃষ্টির আগমনে
কিঞ্চিৎ আপত্তি অসহায়ের—
মেঘদলের কষ্ট মননে পৌঁছায়নি তার।
হঠাৎ কী বুঝে অঝোরে কেঁদে হয়রান?
বুকে শত বেদনা বুঝি,
অযাচিত অশোভনে বহুদিনের অবকাশ—
বক্ষ ছিঁড়ে টুপটাপ পতন।
আকাশটা হঠাৎ কোন দুঃখের আবেশনে,
বক্ষ ছিঁড়ে অঝোরে কাঁদছে,
জানি না মর্মের বাণী—
বোঝাতে পারি না আমিও অসহায়।
অসময়ে কাঁদুক মেঘেদের দল,
রাখালের বাঁশিতে মধুরতা হারাক,
পৃথিবীতে অসচ্ছল মানুষের বেদনায়—
বৃষ্টি পৌঁছাক তার পক্ষের বারতায়।