আগামী দিনের স্বপ্ন সারথিরা

কবি ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকের হাত থেকে সনদ ও উপহার গ্রহণ করছেন লেখক
ছবি: সংগৃহীত

২ জুন রাজধানীর কারওয়ান বাজারের প্রথম আলো কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘লেখক বন্ধু উৎসব’। অংশ নিয়েছেন সারা দেশ থেকে নির্বাচিত লেখক বন্ধুরা। কর্মশালা, উন্মুক্ত আড্ডা ও অভিজ্ঞতা বর্ণনা, সেরা ১০ জন লেখক সম্মাননা এবং বন্ধুদের লেখা গ্রন্থ প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই দুর্দান্ত আয়োজন।

ট্রেনে করে যখন ক্যাম্পাসে ফিরছি, মনে পড়ছিল আমার লেখালেখির হাতেখড়ির শুরুর দিনের গল্প।

লেখালেখির শুরু ডায়েরি লেখার মাধ্যমে। ছোটবেলায় আব্বাকে দেখতাম রাতে বসে সারা দিনের কর্মবিবরণী ডায়েরিতে লিখে রাখছেন। হাইস্কুলে ওঠে আমিও ডায়েরি লিখতে শুরু করলাম। এরপর কবিতা, ছোটগল্প লেখা শুরু। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বুক ও মুভি রিভিউ লিখেছি অনেক দিন।

প্রথম আলোয় আমার লেখা প্রথম ছোটগল্প পাঠিয়েছিলাম ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে। একদিন আমাকে অবাক করে দিল একটা ফোন কল! আমার গল্প প্রকাশিত হয়েছে। অন্য রকম ভালো লাগার অনুভূতি। নিজের সৃষ্টিকর্ম প্রকাশিত হওয়ার স্বাদ সত্যি উপভোগ্য। পরে আরও কিছু লেখা পাঠিয়েছি প্রথম আলোয়। বন্ধুসভার পাতায় ছাপা কাগজে যখন আরেকটা লেখা আসে, সেই অনুভূতিও ছিল মনে রাখার মতো। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে গিয়ে কাগজটা পড়লাম, আনন্দে এক বড় ভাইকে ডেকে দেখালামও। আব্বা-আম্মা পত্রিকা কেটে লেখাটি সংগ্রহ করে রাখল। অন্য রকম গৌরবের সে সময়টা।

সারা দেশের বিভিন্ন বন্ধুসভার নির্বাচিত লেখক বন্ধুদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী ‘লেখক বন্ধু উৎসব’। মেধাবী এই বন্ধুদের সঙ্গে পরিচয় ও ভাবনার বিনিময় করতে পেরেছি। চারটি সেশনে ভাগ করা ছিল পুরো আয়োজন। এর আগে মনে হয় না এত ইন্টারেকটিভ কোনো সেশনে অংশ নিয়েছি। বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে প্রশ্ন, উত্তর, প্রত্যুত্তরের মধ্যে সমৃদ্ধ হয়েছি পুরো দিন। দেশসেরা লেখক ও গুণীজনদের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করতে পারা নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যের ব্যাপার। কৃতজ্ঞতা জানাই এ রকম একটি সুন্দর আয়োজনের সারথিদের। হয়তো এই লেখক বন্ধুদের থেকেই একদিন তৈরি হবে বিশ্বমানের লেখক! সেদিন তৃপ্তির হাসি হাসবে আজকের স্বপ্ন সারথিরা।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা