অবচেতন মন
শরতের বিকেল আকাশে শুভ্র মেঘ,
সব কালো করে এল ঝুম বৃষ্টি।
শাটলের জানালায় গালে গুঁজে হাত
অবচেতন মন আর আমি।
বৃষ্টি পড়ার মিঠে শব্দ কানেতে বাজে
গুঁড়ি গুঁড়ি এসে শরীরে মাখে
অতঃপর শাটল ছুটে চলে
একপশলা বৃষ্টিকে সঙ্গী করে নিয়ে।
পথে সবুজ ফসলের মাঠ
দৃষ্টি জুড়ায়, চোখের অসুখ সারে
মনের ভেতর ভাবনার উদ্রেক ঘটায়
তারপর কেমন সিগ্ধ সুন্দর ক্ষণ।
দূরে মাথা তুলে থাকা পাহাড়
আর গাছগুলো যেন
পাহাড়ের মাথায় মোরগ ঝুঁটি
এসবে মন তৃপ্ত, জুড়ায় আঁখি দুটি।
সবুজ মাঠ, বয়ে চলা পানির খাল
বৃষ্টিস্নাত বাঁশবাগান
পুকুরপাড়ের রাজহাঁস
দূরে থাকা মন্দিরের ঢিবি।
অতঃপর আবার শরতের কাশফুল
ভিজে তারা আকুল ব্যাকুল
শুভ্রতায় লেগেছে খানিকটা ধূসর রং
দুচোখ মেলে দেখি, শান্ত শীতল মন।
ট্রেনের চাকা ঘুরে, ঝকঝক শব্দ কানেতে বাজে
অন্ধকার করে আসে
তবুও ছেলেদের দলবল
মাঠে আছে মেতে কাদায় মাখামাখি ফুটবল।
গতি কমে গতি বাড়ে
পশ্চিমে ঢাকা পড়া সূর্য
মেঘের ভেতরেও শেষবার জ্বলে আলো
এমনই দিন আর্শিবাদ পেয়ে সূয্যিকে বলি থেকো ভালো
দুপাশে দুজন অবচেতন মন
হয়নি কথা তবুও একসাথে প্রকৃতি দেখা
লম্বা হুইসেল অতঃপর থামল
মনে মনে কথা আবার হোক দেখা
এমন দিনে সন্ধেবেলা। ষোলশহর জংশন।