পাখি–মানব
তোমার ছায়া এসে দাঁড়িয়েছে দরজায়
বাঁশি বেজে উঠেছে প্রাণে
আদৌ ঘুমে, আদৌ জাগরণে
আমার তন্দ্রা, জীবনের অতন্দ্রপ্রহরী
যেভাবে দূর্বা গজিয়ে ওঠে হাড়ে আর মজ্জায়
জ্যোৎস্নালোকিত রাত ভরে ওঠে গানে
দিগন্ত ছাপিয়ে যায় দুঃসহ রাত্রিপোড়া অনুরণন
তোমাকে ছাড়া আমি আর কার হাত ধরি?
নিস্তব্ধ প্রহর, বিষণ্ন সময়
কলতানে ললাটে জেগে ওঠে সূর্যোদয়
যেন হামাগুড়ি দিয়ে আসছে পাখি-মানব
ডানায় রেণু মেখে ছুঁয়ে ফেলবে স্বপ্নচূড়া
যত দিন শ্বাসপ্রশ্বাস বুকের ভেতরে ক্ষয়
হিমকাতর পাপড়ি তবু প্রণয় আবেশে
ধ্বংস প্রলয়ের ভেতর অনাগত সৃষ্টির রব
থাকে যেন জীবন ক্ষণিকের উষ্ণ আদরে মোড়া