মনের যত্নে সজাগ হতে হবে

প্রতীকীফাইল ছবি

আমাদের সমাজের প্রায় প্রতিটি পরিবারে প্রতি বেলায় রান্না হয়। রান্নায় লবণ, মরিচ ও টকসহ নানা স্বাদের ভিন্নতা থাকে, আবার থাকে একেকজনের একেক আবদার। এগুলোর সমন্বয় করেই রান্না হয় সংসারে। জীবন চলে তার নিজস্ব গতিতে। ঠিক খাবারের এমন সমন্বয়ের মতো পরিবারের সদস্যদেরও মনের যত্ন নিতে হয়। ভিন্ন সদস্য ভিন্ন মন, কিন্তু এসব বোঝেই বা কতজন!!

দুপুরের রান্নাটা সবাই যতটা স্পেশাল ও গুরুত্বপূর্ণ মনে করে, বয়সে তরুণদের গুরুত্ব পরিবার ও সমাজে ঠিক সে রকমই মনে করা উচিত। একটু বয়স বেড়ে গিয়েছে বলেই সে তরুণ পৃথিবীর সব নিয়ম জেনে নিয়েছে, এমন মনে না করাই ভালো। বাস্তবে ওই তরুণ সবকিছু জেনে যায়নি এবং নিজেকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করাও শেখেনি। বয়সের চেয়ে অভিজ্ঞতা মানুষকে শিখতে সহায়তা করে।

মেধায়, মননে, পড়ালেখায়, মন খুলে হাসায় পরিপক্ব হলেও সব তরুণ বয়সের মানুষেরা মানসিকভাবে নিজেকে শক্ত রাখতে পারে না। অনেক সময়ই তারা ব্যর্থ হয়। সময় ও পরিস্থিতির ওপর তা নির্ভর করে।

জীবনের কোনো এক সময় হতাশায় কাটায়নি, এ কথা কোনো ব্যক্তি বুক ফুলে বলতে পারবে না! অনেক সময় মানুষ বুঝতেই পারে না যে সে আসলে হতাশায় ভুগছে, তার মনের যত্ন নেওয়া দরকার, সেখানে কষ্ট দানা বেঁধে আছে। এই দানা বিজ্ঞানসৃষ্ট ওষুধ দিয়ে না গলানো গেলেও এর চিকিৎসা প্রকৃতিতে আছে। কিন্তু আমরা বুঝতেও পারি না যে কোন পর্যায়ের হতাশায় আছি। আবার বুঝলেও লোকলজ্জার ভয়ে তা প্রকাশ করতে নারাজ।

আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক পরিবেশের কারণেই এমনটা হয়ে থাকে। এ অবস্থা থেকে সরে আসতে হবে। যত্ন নিতে হবে প্রতিটি তরুণ-তরুণীর। এ ক্ষেত্রে পরিবারের দায়িত্ব সবার আগে।

বন্ধু, নরসিংদী বন্ধুসভা